চট্টগ্রাম: গার্মেন্টসকর্মী হত্যার আসামিকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম মো. তারেক (২০)। চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানাধীন চন্দ্রঘোনাস্থ লিচুবাগান আহমদুল হকের কলোনি থেকে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিনগত রাত তিনটার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিএমপির জন সংযোগ শাখা জানায়, শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত নয়টার দিকে চট্টগ্রাম সিটির পাঁচলাইশ থানাধীন হাদুমাঝির পাড়াস্থ মুছা বিল্ডিংয়ের সামনে বিলের পাশে প্রেমের সম্পর্কের টানাপোড়েনের জের ধরে গার্মেন্টসকর্মী মরিয়ম আক্তার সামিরাকে (১৭) গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায় মো. তারেক। স্থানীয় লোকজন সামিরাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে নেমে জানতে পারে, মরিয়ম ও তারেকের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে তারেক শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে মরিয়মকে ফোন করে দেখা করার জন্য ডেকে নেয়। তারেক আগ থেকে ছুরি কিনে তার সঙ্গে রাখে। দেখা হওয়ার পর তাদের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টির বিষয়ে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় তারেক মরিয়মকে অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করে ঝগড়া করতে থাকে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে তারেক মরিয়মের গলায় একের পর এক ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পুলিশ গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তারেকের অবস্থান জানতে পারে। এ ব্যাপারে মরিয়মের ভাই মো. পারভেজ উদ্দিন বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় এজাহার করে। সিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (পাঁচলাইশ জোন) মো. আরিফ হোসেন ও পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমানের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাজ্জাদ হোসেন, এসআই (নিরস্ত্র) মো. নুরুল আবছার ও দীপক দেওয়ান আসামির নানার বাড়ি রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনাস্থ লিচুবাগান আহমদুল হকের কলোনি থেকে তারেককে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামির দেখানো ও শনাক্তমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছোরা ও ভিক্টিমের পরিহিত এক জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারেক হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।