চট্টগ্রাম: মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিবৃতি দিয়ে এ অভিনন্দন জানানো হয়।
বিবৃতিদাতারা হচ্ছে সংসদের ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের সন্তান সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু, সদস্য সচিব কাজী মুহাম্মাদ রাজিশ ইমরান, জেলা কমিটির আহবায়ক মশিউজ্জামান সিদ্দিকী পাভেল ও সদস্য সচিব মো. কামরুল হুদা পাভেল।
বিবৃতিদাতারা যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বিশ্ব মানচিত্রে লাল সবুজের পতাকা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সে সময় জামায়াত ইসলামের নেতৃত্বে যারা এদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন, তারা এত দিন সুপরিকল্পিতভাবে এ দেশে অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আসছিল। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর নাশকতা ও সন্ত্রাস দমন আইনে সরকার নির্বাহী আদেশে এ দেশে জামায়াত- শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা প্রধানমন্ত্রী,আইন মন্ত্রী ,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানান।’
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘আজ আমাদের দীর্ঘ দিনের দাবী সরকার বাস্তায়ন করেছেন, যারা এ দেশের স্বাধীনতা ও একের পর এক উন্নয়ন সহ্য করতে পারেনি, তারাই এখন আবার দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে সাম্প্রতিক সময়ে তারা আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও-ভাংচুরসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করেছে। এলিভেটেড এক্সেপ্রেসওয়ে, পদ্মা ব্রীজের টোল প্লাজা ও মেট্টোরেল স্টেশনসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স হয়ে গেছে, দেশকে নিরাপদ রাখতে হলে নাশকতাকারীদের প্রতিরোধ করার জন্য সবাইকে স্বোচ্চার থাকতে হবে।’
বিবৃতিদাতারা বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত করতে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির জঙ্গীরা এখনো তৎপর রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের মহাসড়কে সবাইকে সামিল হতে হবে।’