সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম: দুই দিন পূর্বে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) তার আকদ হয়েছিল। দুই দিন পর রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ড থানাধীন ফৌজদারহাটে লরির সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা গেছেন রায়হান উদ্দিন নওশাদ (৩০)।
‘আমার এখনো হাতে মেহেদিও লাগানো হয় নি, আমার জামাই কই!’ এভাবেই সদ্য বিবাহিত তার বধূর আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আকাশ-বাতাস।
রায়হানের অকাল মৃত্যুতে তার পরিবার পরিজন ও বন্ধুমহলে নেমেছে শোকের ছায়া।
নিহত রায়হান উদ্দিন হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া এলাকার মৃত নাজিম উদ্দিনের ছেলে। সে পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
তার সহপাঠিকারা জানান, খুব হাস্যজ্জ্বোল ছিল সে। গেল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) আকদ হয়েছিল তার। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে বিয়ের সম্ভাব্য তারিখ রাখা হয়েছিল। কিন্তু, বিয়ের পিঁড়িতে আর বসা হল না রায়হানের। তার এমন চলে যাওয়া আমাদের কাছে যেন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুক।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল আলম আশেক জানান, সীতাকুণ্ড থানাধীন ডিসি পার্কের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় রায়হান নামের এক যুবককে স্থানীয়রা চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর পূর্বে নিজের ফেসবুক একাউন্টে আপডেট প্রোফাইল ছবির সর্বশেষ লিখেছিলেন ‘হাসতে দেখ, গাইতে দেখ, অনেক কথায় মুখর আমায় দেখো; দেখ না কেউ হাসি শেষে নীরবতা’।