চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল ও শাহ আমানত সেতু থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহনা পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর নিরাপত্তা জোরদারে ডাঙ্গার চর নৌ-তদন্ত কেন্দ্র কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
রোববার (৪ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কর্ণফুলী থানাধীন ডাঙ্গার চর নৌ-তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০০২ সালের দিকে নৌ-তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানালে একই বছরে আন্তঃমন্ত্রনালয় বৈঠকে কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে কর্ণফুলী উপজেলার ডাঙ্গারচর, রাঙ্গাদিয়া এবং সিটির চাক্তাই ও গুপ্তখাল এলাকায় দুটি করে চারটি নৌ-তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমরা সব সময় সজাগ থাকি ও পুলিশের দুই লাখ ১৩ হাজার সদস্যের বিশাল বাহিনীর শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছি ও বিধি-বিধান যথাযথভাবে মেনে কাজ করছি।’
পুলিশ হেফাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যু প্রসঙ্গে চৌধুরী আবদুল্লাহ বলেন, ‘পুলিশের হেফাজতে কেউ যদি মারা যায়, তবে নিঃসন্দেহে সেটি দুঃখজনক। আমরা এ রকম ঘটনা কাম্য করি না। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে পুলিশ কোড অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও সুরতহাল রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
সিএমপির জনবল ও ট্রান্সপোর্ট জটিলতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমে যে কোন কাজ শুরুতেই একটু ঝামেলা পোহাতে হয়, পরবর্তী সেটি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।’
চট্টগ্রামে সম্প্রতি চুরির ঘটনা প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ‘আমাদের কেউও যদি অপরাধে জড়িত থাকে, তাহলে তাদেরও আইনের আওতায় আসতে হবে ও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। চট্টগ্রামে বাসা-বাড়িতে ঘটে যাওয়া চুরির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭০ শতাংশ সোনা উদ্ধার করা হয়েছে।’
তিনি সিএমপি-কে আইন-শৃঙ্খলা ব্যাবস্থা আরো জোরদারের আহবান জানান।
আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে বিজিবি কাজ করছে। বিজিবির সাথে সমন্বয় করে পুলিশও কাজ করছে।’
তিনি বিজিবিকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপির কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূর-ই আলম মিনা, চট্টগ্রাম জেলার এসপি মাহবুব হোসেন, কর্ণফুলী উপজেলার চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী।
বলে রাখা ভাল, ২০১৩ সালে নৌ-পুলিশ প্রতিষ্ঠার পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য ডাঙ্গারচর নদীর কাছে জায়গা বরাদ্দ দেয়। সেখানে দুই তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। শাহ আমানত সেতু থেকে কর্ণফুলী নদীর মোহনা পর্যন্ত এলাকায় দস্যুতা ও অপরাধ দমনে সিএমপির সাথে কাজ করবে এ তদন্ত কেন্দ্র।