সিনিয়র প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে ঘিরে এখন সরগরম মাঠ-ঘাট ও চায়ের দোকান। আগামী ২৩ ডিসেম্বর এ উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের (শিকলবাহা, চরলক্ষ্যা, চরপাথরঘাটা, বড়উঠান ও জুলধা) মধ্যে এবার ৪টি ইউপিতে নির্বাচন হচ্ছে। কেননা ঘোষিত তফশীলে বাদ পড়েছে চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।
কেন বাদ পড়েছে তার অনুসন্ধানে নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলী উপজেলাধীন ০৫টি (পাঁচ) ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠান, শপথ গ্রহণ, প্রথম সভা ও মেয়াদ পূর্তি সংক্রান্ত তথ্য গত ৮ সেপ্টম্বরে জেলা নির্বাচন অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে। এতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, কর্ণফুলীর পাঁচ ইউনিয়নে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের ২৮শে মে। ৪টি ইউনিয়ন পরিষদে (চরলক্ষ্যা, জুলধা, বড়উঠান ও শিকলবাহা) জনপ্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের পহেলা আগষ্ট।
চরলক্ষ্যা ইউনিয়নে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ১৬ আগষ্ট। জুলধা ইউনিয়নে ০৯ অক্টোবর, বড়উঠান ও শিকলবাহা ইউনিয়নে ১৩ আগষ্ট প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফলে, ২০২১ সালের ১৬ আগষ্ট চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। জুলধা ইউনিয়নের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় ২০২১ সালের ০৯ অক্টোবর। পাশাপাশি বড়উঠান ও শিকলবাহার ৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদ পূর্তি শেষ হয় ২০২১ সালের ১৩ আগষ্ট।
শুধুমাত্র কর্ণফুলী উপজেলায় ব্যতিক্রম ছিল চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন। ইউনিয়নটিতে ২০১৬ সালের ২৮ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও শপথ গ্রহণ হয়েছিল ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর। প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় একই বছরের ২০ ডিসেম্বর। যার প্রেক্ষিতে ৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২০২২ সালের ২০শে ডিসেম্বর। সে কারণে মূলত চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের নির্বাচন পিছিয়েছে।
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আবদুল শুক্কুর বলেন, ‘মামলা জনিত কারণে শপথ গ্রহণ পরে হওয়ায় চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের মেয়াদ এখনো উত্তীর্ণ হয়নি।’
আরো জানা যায়, নির্বাচনে অনিয়ম ও জাল ভোট প্রদানের অভিযোগ এনে বিএনপি মনোনীত (ধানের শীষ) প্রার্থী আলহাজ্ব এম মঈন উদ্দিন হাইকোর্ট রিট মামলা দায়ের করেছিলেন। যা পরবর্তী নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে গড়ায়। ফলে, গেজেট ও প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হতে এক বছর সময় অতিবাহিত হয়।
ওদিকে, উপজেলার চার ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন পেতে দুই ডজন প্রার্থীকে চেয়ারম্যান পদে লবিং করতে শোনা যায়। বাজার ছাড়িয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার ও ফেস্টুনে ভরে গেছে স্যোশাল মিডিয়াও। বইছে প্রার্থীদের নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ।
উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে ২১ জুন ২০৪ ইউপি ও ২০ সেপ্টেম্বর ১৬০ ইউপির ভোট হয়। দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৬ ইউপির ভোট হবে ১১ নভেম্বর। তৃতীয় ধাপে ১০০৩ ইউপির ভোট হবে ২৮ নভেম্বর। চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৮৪০ ইউপিতে ২৩ ডিসেম্বর।
















