ক্রীড়া ডেস্ক:
সূর্য ধীরে ধীরে হেলে পড়ছে পশ্চিম আকাশে। গোধূলিমাখা বিকেলে উঁচু উঁচু দালানের ফাঁক গলে আইসিসি একাডেমি মাঠে উঁকি দিচ্ছে স্নেহমাখা আলো। নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট দলের সদস্যরা একে একে প্রবেশ করছেন মাঠে। শান্ত-শিষ্ট কিউই ক্রিকেটারদের দেখে বোঝার উপায় নেই তাদের হাতছানি দিচ্ছে ইতিহাস।
টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বসেরা হওয়ার হাতছানি। এর কিছুক্ষণ আগে তাদের প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়া দলও ছিল পাশের মাঠে। কিন্তু অজিদের ভেতর দেখা গিয়েছিল উত্তেজনা। আক্রমণাত্মক অনুশীলনের ছাপও দেখা গিয়েছিল শরীরী ভাষায়। নিউ জিল্যান্ডও আক্রমণাত্মক অনুশীলন সেরেছে, কিন্তু তাদের হুঙ্কার মাঠের বাইরে আসেনি।
তাসমান সাগর পাড়ের দুই দল অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড মুখোমুখি হবে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। দুই দলের সামনেই প্রথমবার এই ট্রফি জয়ের সুযোগ। এর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপ পাঁচবার ঘরে তুললেও সর্বশক্তিমান অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে নিজেদের ‘শ্রেষ্ঠত্ব’ প্রমাণ করতে পারেনি।
অন্যদিকে নিউ জিল্যান্ডের জন্য এটি সীমিত ওভারের ফরম্যাটের প্রথম ট্রফি জয়ের সুযোগ। অবশ্য টেস্টের বিশ্বকাপ খ্যাত আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে কিউইরা শেষ হাসি হেসেছে। বিশ্বকাপে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ফাইনাল মহারণে রোমাঞ্চিত কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
‘আমরা পরস্পরের বিপক্ষে অনেক ম্যাচ খেলি। দুই দলের ম্যাচে সব সময়ই দারুণ লড়াই হয়। যখন আমরা মুখোমুখি হয়, সেটা অসাধারণ একটি মুহূর্ত। আমার মনে হয়, ফাইনাল নিয়ে দুই দলই ভীষণ রোমাঞ্চিত’- ফাইনালের আগে ঠিক এভাবেই বলেছেন উইলিয়ামসন। রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হবে বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের ফাইনাল।
উইলিয়ামসনের সুর অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের কণ্ঠেও, ‘দুই দলেরই ক্রিকেটে দারুণ ইতিহাস আছে। শুধু ক্রিকেট না প্রতিবেশী হিসেবেও। যে কোনো ফরম্যাটেই হোক আমরা নিজেদের মধ্যে দারুণ লড়াই করি এবং ভালো কিছু ম্যাচ উপহার দিয়েছি।
নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে খেলা সবসময়ই রোমাঞ্চকর কারণ ওদের দারুণ একজন অধিনায়ক আছে। ব্যাপারটা এমন যে বড় টুর্নামেন্টে দুই দলই বিপক্ষের পথে চলে আসছে। এ লড়াইটা সত্যিই রোমাঞ্চকর হবে।‘
















