নীরব চৌধুরী বিটন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি গুইমারা উপজেলার তিন ইউপিতে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণে মধ্য দিয়ে শেষ হলেও মাটিরাঙ্গার বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন।
গুইমারার উপজেলার সদর গুইমারা, হাফছড়ি ও সিন্ধুকছড়িতে প্রশাসনের কঠোর নজরে আজ বৃহস্পতিবার সকল ৮টা থকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে শান্তিপূর্ণ ভোট দান। সকালে কিছুটা ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি ভেড়ে যায়।
এদিকে গুইমারায় সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসারের স্টাইকিং ফোর্স এর টহলের কঠোর নিরাপত্তা জোরদারের ফলে কোন ধরনের সহিংসতা ছড়াই ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
মাটিরাঙ্গা উপজেলার ৭ ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের আগের দিন রাতে বর্ণাল এলাকার ডাক বাংলা মুসলিমপাড়া শিবির এলাকায় বির্তকে জড়িয়ে বাহার মিয়া,শহিদ আহম্মদসহ ও তবলছড়িতে বাক-বিতন্ডা ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
গুইমারা রির্টানিং অফিসার রিকল চাকমা জানান, সকলের সহায়তায় সুশৃঙ্খল, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা তবলছড়ি ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেম ভুঁইয়ার এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ভোটগ্রহণের কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটে। এ সময় আবুল কাশেম ভুঁইয়া নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের কাছে এমন অভিযোগ করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিযোগে বলেন, কেন্দ্রে প্রকাশ্য ব্যালটে সিল মারা হচ্ছে। আমার এজেন্ট বাধা দিলে তারা মারধর শুরু করেন। এতে কেন্দ্রে বড় ধরনের সংঘাত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যদি প্রশাসন এই বিষয়টি মাথায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন না করে তাহলে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা চাই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হোক।
এদিকে কেন্দ্রের চারপাশে প্রার্থীদের অবৈধ ক্যাম্প করার কারণে দুই প্রার্থীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্যাট বাসুদেব কুমার মালো। তিনি বলেন, নির্বাচন বিধিলঙ্ঘন করায় ২০১৩ সালেন আইন অনুযায়ী ২ প্রার্থীকে জরিমানা করা হয়েছে। কোনো প্রকার অসৎ কার্যক্রম করা যাবে না। কেউ যদি কোনো অন্যায় করে তাকে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হবে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ জানান, খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় শান্তিপূর্ণ এবং মাটিরাঙ্গাসহ ১০ ইউপিতে ভোট গ্রহণে প্রশাসন তৎপর ছিল। তবে নির্বাচনে প্রতিদ্বীতার মাঠে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে এটাই স্বাভাবিক। আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলায় পুলিশের তৎপরতা চলমান থাকবে এবং কোন ধরনের সহিসতা হবে না।
















