বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি: ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ।
বান্দরবানের লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ৪ বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ।ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ।
এরা হলেন লামা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আকতার কামাল। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ ওমর ফারুক।
অন্যদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাহাদুর ও দোছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ।
মঙ্গলবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনেও এরা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।
বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক লক্ষিপদ দাস জানিয়েছেন দলের গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে যারা মনোনীত প্রার্থীর বাইরে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বান্দরবানের লামায ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মোট ৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে লামা সদরে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মিন্টু কুমার সেন, আজিজ নগরে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ফাঁসিয়াখালীতে মোঃ নুরুল হোসেন চৌধুরী, সরই ইউনিয়নে মোহাম্মদ ইদ্রিস, ফাইতং ইউনিয়নে মোহাম্মদ ওমর ফারুক, গজালিয়া ইউনিয়নে বাথোয়াই চিং মারমা ও রুপসীপাড়া ইউনিয়নে সাচিং প্রু মারমা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন এ মোহাম্মদ আলম কোম্পানি ও দোছড়ি ইউনিয়নে মোহাম্মদ ইমরান আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে লামার আজিজ নগর ইউনিয়নে দলের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোঃ রশিদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এই ইউনিয়নে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বেশ কয়েক দফা বৈঠকে বসেছেন বলে জানা গেছে।
মোহাম্মদ রশিদ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোন কমিটিতে না থাকায় তার বিরুদ্ধে দলীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না বলেও নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।
















