শহীদ গাজী আবদুস ছবুরের ৫০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আবু জাফর চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ না করেও অনেকে মুক্তিযোদ্ধা সেজে রাষ্ট্রীয় নানা সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন, তাঁরা ও তাঁদের সন্তানেরা সরকারি চাকরীসহ আর্থিক-সামাজিকভাবে লাভবান হয়েছেন। অথচ মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েও শহীদ আবদুস ছবুরের নাম রাষ্ট্রীয় কোন নথিপত্রে নাই। তাঁর পরিবার রাষ্ট্রীয় সম্মান-সুযোগ-সুবিধা কিছুই পান না। কেলিশহরের পাহাড়ে অবস্থিত তাঁর কবরটিও চিহ্নিত করে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দাপটে শহীদ ছবুরের মতো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান চাপা পড়ে গেছে।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ গাজী আবদুস ছবুরের ৫০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ২ অক্টোবর শনিবার পটিয়া ক্লাব মিনি হলে পটিয়া গৌরব সংসদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। গাজী আবদুস ছবুর ৫০তম শাহাদাত বার্ষিকী আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রশীদ এনামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, পটিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি হারুনুর রশিদ ছিদ্দিকী, সৃজনশীল সাহিত্য গোষ্ঠী মালঞ্চ সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মিত্র, পটিয়া থিয়েটারের সভাপতি মোহাম্মদ ছৈয়দ চেয়ারম্যান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক অধ্যাপক অভিজিৎ বড়ুয়া মানু, পটিয়া গৌরব সংসদের আহ্বায়ক এডভোকেট কবিশেখর নাথ পিন্টু, শহীদ ছবুরের ভাই গাজী মো. সেলিম, জাহেদ উল পাশা আকাশ, সোহেল মো. নিজাম উদ্দিন, খেলাঘর সংগঠক রেজাউল কবীর, অধ্যাপক ভগীরথ দাশ, নারীনেত্রী মদিনা বেগম, আবদুর রহমান রুবেল, আবু সাঈদ তালুকদার খোকন, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, সেবাব্রত বড়ুয়া বাবু, রাজীব দাশ, পলাশ রক্ষিত, হামীম রায়হান, রুদ্র সাজেদুল করিম প্রমুখ। এর আগে পটিয়া শহীদ ছবুর রোডে অবস্থিত শহীদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় পটিয়া পৌরসভার মেয়র মো. আইয়ুব বাবুল ও পটিয়া গৌরব সংসদের নেতৃবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
















