কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের প্রথম সারির নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে, নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবউল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি অজ্ঞাতনামা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর-১২৬।তবে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে মোহাম্মদ সেলিম নামের এক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে এপিবিএন পুলিশ।
১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ নিহত হওয়ার ঘটনায় ৩০২/ ৩৪ ধারায় একটি মামলা উখিয়া থানায় রুজু করা হয়েছে। যার মামলা নম্বর-১২৬। হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানান ১৪ এপিবিএন এর এই কর্মকর্তা।
তিনি আরো জানান,শুক্রবার (১ অক্টোবর) দুপুরে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৬ থেকে এক রোহিঙ্গাকে মুহিবুল্লাহকে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে আটক করা হয়। পরে আটককৃত রোহিঙ্গাকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উখিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহম্মদ সনজুর মোরশেদ মামলা রুজু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রচলিত আইনে এ সংক্রান্ত পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।এ ঘটনায় এক রোহিঙ্গাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে অজ্ঞাতনামা আসামি হওয়ায় আসামি বের করা পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পে নিজ সংগঠনের অফিসে মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গাদের অন্যতম নেতা হিসেবে আলোচিত মুহিবুল্লাহ। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে বাদ আছর উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১-ইস্ট এ লাখো মানুষের উপস্থিতিতে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পুরোটা জীবন রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার রোহিঙ্গাদের এই নেতাকে দাফন করা হয় লম্বাশিয়ায় তাঁর নিজ বাড়ি সংলগ্ন কবরস্থানে।
















