আবুল খায়ের গ্রুপের লোহার কারখানার কাঁচামাল বোঝাই চলন্ত ট্রাকে নিরাপত্তাকর্মীকে খুনের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, তারা সকলেই পেশাদার চোর ও ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহির হোসেন। তিনি বলেন, বুধবার ও বৃহস্পতিবার পাহাড়তলী, খুলশী, হালিশহর ও বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- মো. রকি (২২) মো. রাসেল আখন (২৭), মো. আব্দুল্লাহ (২০), মো. রানা পারভেজ (১৯), মো. ইব্রাহিম শান্ত (২০), মো. আব্দুর রায়হান (১৯), মোহাম্মদ আলী রমজান (২০), মো. আব্দুল জলিল (৬২), মো. মজিবুর রহমান রিপন (৩০) ও মো. সাজ্জাদ (৩০)।
আকবর শাহ থানার ওসি আরও জানান, তারা সকলেই পেশাদার চোর ও ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন লোহা ও লোহা তৈরির কাঁচামালবাহী ট্রাককে অনুসরণ করতেন। পরে নির্জন স্থানে গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা ও মেক্সিমায় (এক ধরনের গাড়ি) করে অস্ত্রের ভয় ও পাথর নিক্ষেপ করে ট্রাক থামিয়ে মালামাল লুট করতেন। পরে সেসব চোরাই ও লুটকৃত মালামাল বিক্রি করতেন চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন ভাঙারির দোকানে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর আবুল খায়ের স্টিল মিলের মালিকানাধীন ৩৫ টন কাঁচা লোহা (পিগ আয়রন) ভর্তি একটি ট্রাক সদরঘাট থানার জুট র্যালি ঘাট থেকে রাত সাড়ে তিনটার দিকে সীতাকুণ্ডের উদ্দেশে রওনা করে।
ট্রাকটি গ্লাসকো গেটের সামনে পৌঁছালে সাত-আটজন লোক গাড়ির চালককে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ও পাথর (কাঁচা লোহার টুকরা) নিক্ষেপ করে ট্রাকটি থামাতে বাধ্য করেন। পরে ট্রাকে থাকা ৩০০ কেজি কাঁচা লোহা লুট করেন তারা।
সকাল আটটার দিকে শীতলপুর আবুল খায়ের স্টিল মিলে ট্রাকে থাকা মালামাল আনলোডিং করা হয়। এ সময় মালামালের স্কর্টের (পাহারা) দায়িত্বে থাকা কর্মচারী আবুল হাসেম নীরবের (১৯) মরদেহ পাওয়া যায়।
















