টাইগারপাসস্থ চসিক অস্থায়ী কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়র দপ্তরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে মালদ্বীপের হাই কমিশনার শিরুজিমাথ সামির সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
সাক্ষাতকালে মেয়র বলেন, মালদ্বীপ বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। বাংলাদেশ ভ্রাতৃপ্রতীম মালদ্বীপের সাথে সম্পর্ককে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বিভিন্ন ইস্যুতে অভিন্ন মনোভাব পোষণ করে থাকে।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানের কথা উল্লেখ করে মেয়র এ বিষয়ে সমন্বিতভাবে আরো জোরালো ভূমিকা রাখার আহবান জানান। মেয়র মালদ্বীপে কর্মরত প্রায় এক লক্ষ বাংলাদেশীর কথা উল্লেখ করে বলেন, তাঁরা উভয় দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
মেয়র বলেন, ভূ-প্রকৃতিগতভাবে চট্টগ্রাম ও মালদ্বীপ অনেক ক্ষেত্রে সামঞ্জ্যসপূর্ণ। তাই পর্যটন শিল্প সমৃদ্ধ মালদ্বীপের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামে পর্যটন শিল্পে নতুনমাত্রা সংযোজিত হতে পারে। তিনি এক্ষেত্রে মালদ্বীপের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
মালদ্বীপের হাই কমিশনার শিরুজিমাথ সামির করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহিত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি পর্যটন খাতের বিকাশসহ উভয় দেশের ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাইল, সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, ইন্টারন্যাশন্যাল এডভাইজারি প্যানেল চেয়ারম্যান, সাংগঠনিক কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাশেম খান
ও এ.কে খান গ্রুপের ম্যানেজার মো. ইমরান মিয়া চৌধুরী প্রমুখ।