সিআরবি এলাকায় হাসপাতাল নির্মানের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা কমিটির উদ্যোগে সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে দিনব্যাপী প্রতীকী অনশন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, সিআরবি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি বিজরিত এলাকা। চাকসুর প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শহীদ আব্দুর রবের কবর সিআরবি এলাকায়। প্রাণ প্রকৃতিতে ভরা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভ’মি এই সিআরবি এলাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের জমায়েত হয়।
এখানে রয়েছে নানা প্রজাতির শতবর্ষী বৃক্ষ, রয়েছে অনেক ঔষধি গাছ, বিলুপ্ত ঘোষিত এবং ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে এমন গাছও এখানে আছে। বৈশাখী মেলাসহ অনেক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মিলন মেলা হয় সিআরবির শিরিষ তলায়।
সিআরবি এলালাকায় হাসপাতাল নির্মাণ হলে প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস হবে। অনেক বিরল প্রজাতির গাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। চট্টগ্রামের মানুষের নিঃশ্বাস নেয়ার শেষ জায়গাটুকুও আর থাকবেনা। তাই সিআরবি এলাকায় হাসপাতাল নির্মানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে প্রায় দীর্ঘ তিন মাস যাবত আন্দোলন করে আসছেন।
দুই-একজন স্বার্থান্বেষি ব্যক্তি ছাড়া সমগ্র চট্টগ্রামবাসী আন্দোলনের পক্ষে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। যারা সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের পক্ষে অবস্থান নেবেন তাদেরকে চট্টগ্রামবাসী কখনো ক্ষমা করবে না। তারা চট্টগ্রামবাসীর কাছে ঘৃণিত ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত হবেন এবং ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।
টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি শ্রমিক নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন দত্তের সভাপতিত্বে গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় শুরু হওয়া অনশন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন নাগরিক সমাজ চট্টগ্রামের সদস্য সচিব ও প্রবীন আইনজীবী ইব্রাহিম হোসেন বাবুল, কো-চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডাঃ মাহফুজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুস, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বেসরকারী স্বাস্থ্য সেক্টরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর কমিউনিটি সেন্টার ও ডেকোরেশন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ পারভেজ, টিইউসি পাহাড়তলি আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দত্ত, নির্মান শ্রমিক নেতা ফিরোজ আলম, সবুজ হাওলাদার, মহিন উদ্দিন, হোটেল শ্রমিক নেতা দুলাল মিয়া ও নুর আলম।
আলোচনা সভা শেষে নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের সদস্য সচিব এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল এবং মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমান শরবত পান করিয়ে অনশনকারীদের অনশন ভঙ্গ করান।
















