ক্ষমতাচ্যু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরাতে আবার ইন্টারপোলে আবেদন করা হবে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে চাইলে শেখ হাসিনা ও কামালের হাতে সময় রয়েছে মাত্র ২৯ দিন- এ কথা জানিয়ে প্রসিকিউটর গাজী তামিম আর বলেন, ‘রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে পাঠানো হবে। তাদের ফেরাতে ফের আবেদন করা হবে ইন্টারপোলে।’
শেখ হাসিনার মামলার রায়ের পর দিনও ট্রাইব্যুনাল ঘিরে উপস্থিতি ছিল সেনা, পুলিশ, বিজিবির। অনেকটা নির্ভার দেখা গেছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনকে। রায় প্রদানকারী তিন সদস্যের বেঞ্চ এদিন এজলাসে বসেননি। একটি মামলায় সাক্ষ্য হওয়ার কথা থাকলেও সেটি হয়নি।
সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এ দুই আসামিদের দেশে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গ্রেফতারি ও সাজা পরোয়ানা ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো হবে বলেও জানান তামিম।
শেখ হাসিনার মামলার রায়ে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন নিয়ে পর্যবেক্ষণ দলের বিচারের সহায়ক হবে বলেও মনে করেন তিনি।
পাশাপাশি কোন প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনা, কামালের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে দেয়া হবে তা নির্ধারণ করবে সরকার বলেও জানান তামিম।
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১’-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার অসুস্থ থাকায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের কপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হচ্ছে না আজ।
এর আগে, সোমবার (১৭ নভেম্বর)) মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে রাজসাক্ষী মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনাল-১’-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় ঘোষণা করেন।
















