আগামীকাল ০১ আগষ্ট (রবিবার) থেকে সারাদেশে খুলছে সকল ধরনের পোশাক কারখানা। যদিও পোশাক কারখানা ০৫ই আগষ্টের পর খোলার কথা থাকলেও সেটি না হয়ে আগামীকাল থেকে বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে সকল ধরনের পোশাক কারখানা।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকেই বিভিন্ন গ্রাম থেকে চৌমুহনীতে আসা যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।
সরজমিনে দেখা যায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজারে নিজ কর্মস্হলে ফেরার লক্ষ্যে দীর্ঘক্ষণ দারিয়ে থাকতে দেখা যায় গার্মেন্টস কর্মীদের।
এছাড়াও দেখা গেছে অনেকেই গাড়ি না পেয়ে দীর্ঘপথ হেঁটে হেঁটে পারি দিচ্ছেন সোনার হরিণ নিজ কর্মস্হলে।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ভেঙে ভেঙে চাতরী চৌমুহনী এসে শহর মুখী গাড়িতে উঠছেন যাত্রীরা। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন গ্রাম থেকে যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মাহেন্দ্রা, মোটরসাইকেল, অটোরিকশায় করে আসছেন তারা।
শহরমুখী যাত্রীরা জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে তাদের কারখানা খুলছে। এ জন্য ভোগান্তি সত্বেও নগরীতে যাচ্ছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে আসতে হচ্ছে তাদের। একইসঙ্গে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
করোনার সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এ বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিল্প-কারখানা।
এরমধ্যে গার্মেন্টসসহ সব ধরনের শিল্প-কারখানা খুলে দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন মালিকরা। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান।
এরপরই শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে রফতানিমুখী সব শিল্প ও কলকারখানা আরোপিত বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখা হলো।
এদিকে, শিল্প-কারখানা খোলার অনুমতি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাধুবাদ জানিয়েছে পোশাক শিল্প পরিবার তথা বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
















