করোনাভাইরাস জনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত সার্বিক কার্যাবলী চলাচল বিধি-নিষেধ সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষে দিনব্যাপী জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের ১৮ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, বিআরটিএ, চট্টগ্রাম এর ২ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর ১ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ২১ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
আজ (৩০ জুলাই) শুক্রবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকানপাট শপিংমল খোলা রাখা, অপ্রয়োজনে রাস্তায় ঘুরাফেরা করা, ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত রাস্তায় বের হাওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধে মোট ১৫৪ টি মামলায় ৫০ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত ও মনিটরিং কার্যক্রমে সেনাবাহিনী, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও পুলিশ সদস্য সার্বিক সহযোগিতা করেন।
হালিশহর, পাহাড়তলি এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রায়হান মেহবুব ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন। এ সময় ১১ টি মামলায় ৩ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
চকবাজার, বাকলিয়া ও কর্ণফুলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা ইসলাম। এ সময় ৩ টি মামলায় ১ হাজার ২০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
পাশাপাশি আকবরশাহ, বায়েজিদ, হালিশহর ও পাহাড়তলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বিবি করিমুন্নেছা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন। এ সময় ১৩ টি মামলায় মোট ৭ হাজার ৬০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
খুলশী, চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তাহমিনা সারমিন ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পিযুষ কুমার চৌধুরী, এ সময় ১৭ টি মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাছান ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আশরাফুল আলম হালিশহর, পাহাড়তলি এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় ৫ টি মামলায় ১ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
ফিরিঙ্গীবাজার সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রী খীসা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোনিয়া হক, এ সময় ১৬ টি মামলায় ৬ হাজার ১০০টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
হালিশহর, বায়েজিদ ও আকবরশাহ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিল্লুর রহমান, এ সময় ৩৭ টি মামলায় ১২ হাজার ৬০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
নগরীর বন্দর, পতেঙ্গা ও ইপিজেড এলাকায় অভিযান পরিচালনায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জিসান বিন মাজেদ, এ সময় ১৫ টা মামলায় মোট ২ হাজার ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক কোতোয়ালি, আগ্রাবাদ ও চকবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১২ টি মামলায় ১৮০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
অন্যদিকে নতুনব্রীজ, মইজ্জারটেক এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন বিআরটিএ এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার দাস ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহারিয়ার মুক্তার, এ সময় ১৪ টি মামলায় ৩৭০০ টাকা অর্থদন্ড আদায় করেন।
বাকলিয়া, চকবাজার, চান্দগাঁও, পাচলাইশ, হালিশহর, পাহাড়তলি, লালখান বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, তিনি ৭ টি মামলায় ১০০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তার রোধে জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
















