তিনবছর পর অবশেষে গ্রেফতার হলেন সন্তানদের ভরণপোষণের ‘মিথ্যা আশ্বাসে’ বিনা অপরাধে মিনু আক্তারকে তিন বছর জেল খাটানো মামলার মূল আসামি কুলসুমী আক্তার।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুমী লোহাগাড়া উপজেলার গৌরস্থান মাঝের পাড়া আহাম্মদ মিয়ার বাড়ির আনু মিয়ার মেয়ে। তবে তার বর্তমান ঠিকানা কোতোয়ালী থানার রহমতগঞ্জ সাঈদ ডাক্তারের ভাড়া বাড়ি।
আজ ২৯ জুলাই, বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর পতেঙ্গা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।
তিনি বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে পতেঙ্গা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোহিনূর আক্তার নামে এক গৃহকর্মী হত্যা মামলার আসামি কুলসুমী আক্তার কুলসুমীকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আজ আদালতে পাঠানো হবে। গত তিন বছর ধরে তার হয়ে জেল খেটেছিলেন মিনু নামে আরেক নারী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের জুলাইয়ে নগরীর রহমতগঞ্জের একটি বাসায়, মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টস কর্মী পারভিনকে গলা টিপে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এসময় পারভিন আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন গার্মেন্টস কর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। পরে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন জমা দেয়।
২০১৭ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে পারভিন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমীর পরিবর্তে মিনু ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান। চলতি বছরের ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান নারী ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে জানতে পারেন- মিনু কোনো মামলার আসামি নন। পরে ১৬ জুন আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ আইনি প্রক্রিয়া শেষে করে নির্দোষ মিনুকে কারাগার থেকে মুক্ত করেন। মুক্ত হওয়ার পর ২৮ জুন রাতে বায়েজিদ সংযোগ সড়কে দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।
















