দীর্ঘ দুই মাস নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে মাছ ধরা শুরু করেছেন জেলেরা। জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের প্রচুর ইলিশ পেয়ে খুশি জেলে, ফিশিং ট্রলার মালিক ও মৎস্য আড়তদাররা। গভীর সমুদ্র থেকে ফেরত আসা ইলিশ বোঝাই ট্রলার নিয়ে এখন ব্যস্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী,হাতিয়া,সন্দ্বীপ,কুতুবদিয়া, সেন্টমার্টিন সহ উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন মৎস্য ফিশারিঘাটের আড়তগুলো।
জেলে মোবারক হোসেন জানান, ৬৫ দিন অবরোধের পর আবার মাছ ধরতে পেরে আমরা খুশি। প্রচুর ইলিশ ধরা পরতে শুরু করেছে। এখন জেলেরা তাদের পরিবার নিয়ে ভালো থাকতে পারবে। অবরোধের কারণে পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে সময় কাটিয়েছেন জেলেরা।
আড়তদার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মূলত চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে ৬০ শতাংশ মাছই সমুদ্রের। তাই সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলে ফিশারিঘাট জমজমাট থাকে না। অনেক দিন পর শ্রমিকেরা কাজ করছেন। ইলিশ ও সামুদ্রিক মাছ কিনতে ক্রেতারা আসছেন। অনেক ভালো লাগছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দিন বড় আকৃতির ইলিশ যেগুলোর ওজন এক কেজির ওপরে, সেগুলো বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। এর চেয়ে ছোট ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। তবে লকডাউন আর কোরবানির ঈদের কারণে মাছের চাহিদা খানিকটা কম। অন্য সময় হলে এ মাছ আরও বেশি দামে বিক্রি করতে পারতাম। মূলত অলিগলি বা সড়কের পাশে যারা মাছ বিক্রি করত, তারা আসছে না। আবার বাজারেও ক্রেতা নেই। তাই মাছ বিক্রেতারা এলেও সবাই পরিমাণে মাছ কম নিচ্ছেন।’
আড়তদার ফজল হোসেন জানান, সাগরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় অনেক ট্রলারই ঝুঁকি নিয়ে যেতে চাচ্ছে না। যারা গেছে তারাও কাছাকাছি উপকূল থেকে মাছ ধরেছে। খুব বেশি দূরে গেলে আরও বেশি মাছ ধরা পড়ত।
তিনি বলেন, এখানে আসা জেলেরা বলছেন সাগরে প্রচুর মাছ; বিশেষ করে আষাঢ়ী পূর্ণিমার কারণে মাছ তীরের দিকে এসেছে। কিন্তু সাগর উত্তাল থাকায় তাঁরা ধরতে পারছেন না। ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত কেটে গেলে এবার প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা জেলেদের।
















