চট্টগ্রাম কর্ণফুলীতে প্রশাসনের নির্দেশকে উপক্ষো করে ফকিরনীর হাট বাজারে বসছে পশুর হাট। অনুমতি ছিল সপ্তাহে দুদিন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কোন স্বাস্থ্যবিধি না মেনে সপ্তাহের সাত দিনেই পশুর হাট বসিয়ে ঝুঁকিতে ফেলেছে উপজেলাবাসীকে।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) সরেজমিনে গেলে চোখে পড়ে, সকাল থেকেই উপজেলার ফকিরনীর হাট বাজার এলাকায় হাট বসেছে। প্রশাসনের মতে, রবিবার ও বুধবার হাট বসার অনুমতি থাকলেও ইজারাদাররা প্রতিদিনই বসাচ্ছে গরু ছাগলের হাট। প্রশাসনের তেমন নেই কোন নজরধারি। গণমাধ্যমকর্মীরা যোগাযোগ করলে প্রশাসন জানাচ্ছেন তাঁরা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। কিন্তু ব্যবস্থার কোন লক্ষণ সাধারণ মানুষ এখনও দেখছেন না।
স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা করতে আসেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলছে কেনাবেচা। এ সময় অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখেই ছিল না মাস্ক। কারও কারও মাস্ক থাকলেও তা পকেটে, না হয় থুতনিতে। নেই সামাজিক দুরত্ব, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। তাছাড়া ২৪ ঘন্টা বেচাকেনা চলছে চলবে এই রকম মাইকিং করছে ইজারাদার কতৃপক্ষ।
তবে হাটগুলো ইজারা দেয়ার সময় সংশ্লিষ্ট ইজারাদারদের কিছু নিয়ম-কানুন ও শর্ত দেয় উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু এসব নিয়ম-কানুন ও শর্ত ভঙ্গ করছে ইজারাদাররা। এ বিষয়ে জানার পরেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
জানতে চাইলে বাজারের ইজারাদার রফিক আহমদ বলেন, ‘এখন বাজারে কোনো পশু কেনাবেচা হচ্ছে না। ফকিরনীর হাট বসবে মূলত রবিবার ও বুধবার। এখন যেগুলো আছে সেগুলো লকডাউনের কারণে আগে এসেছিল। প্রশাসনের থেকে অনুমতি নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিতো ইজারাদার না আমার ছেলে ইজারাদার ওনার সাথে কথা বলেন।’
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা বলেন, ‘কর্ণফুলীতে মোট চারটি পশুর হাট মইজ্জ্যারটেক বাজার ছাড়া বাকি তিনটি বাজার সপ্তাহে দুইদিন বসার অনুমতি আছে। হাট বাজার ছাড়া বাজার বসালে আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। এই বিষয়টি আমরা ইতিমধ্যে তদারকি চালাচ্ছি।’
জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘চট্টগ্রামে গত কয়েকদিন সংক্রমণের হার ৩৭ শতাংশে উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতির আদৌ উন্নতি হবে কিনা তা আসন্ন ঈদুল আজহার ওপর নির্ভর করবে। ঈদের পর সংক্রমণ নিম্নমুখী রাখাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।’
















