এবারের ঈদ যাত্রায় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ঘটতে পারে বিপর্যয়। আগের বছর ঈদুল ফিতর ও কোরবানির ঈদে সংক্রমণ কম থাকলেও এবার ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় এ আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এদিকে চট্টগ্রামে সংক্রমণের হার আগের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে গত কয়েকদিনে। গত ৭২ ঘন্টায় নতুন করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৭৭৯ জন এবং মিত্যু হয়েছে ২৯ জনের।
এদিকে দেশে ডেল্টা ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ১ জুলাই থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন আরোপ করে।পরবর্তীতে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তা বাড়িয়ে আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়।কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশু বেচাকেনা ও ঈদ উদযাপন করতে আজ ১৪ জুলাই রাত থেকে আগামী ২৩ জুলাই সকাল পর্যন্ত কঠোর লকডাউন শিথিল করছে সরকার। এসময় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু কেনাবেচা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে বলা হলেও সাধারণ মানুষ কতটা মানবে তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।আর এসময় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি না মানলে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আইসিউ ও চিকিৎসা সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে সরকারী বেসরকারী হাসপাতাল গুলোকে। পর্যা্প্ত আইসিউর অভাব, অক্সিজেন সংকট ও পর্যাপ্ত লোকবল সংকট তৈরি হয়েছে সব হাসপাতালে। পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় সরকারী হাসপাতাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী রোগী ছাড়া নতুন ভর্তি ও সব ধরনের অস্ত্রোপাচার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
লকডাউন শিথিল করায় সংক্রমন বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন। তিনি বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে চালু হওয়া গণপরিবহন, শপিংমল ও কোরবানির পশুর হাটে যদি স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মানা না হয়, তবে সংক্রমণের মাত্রা কমার কোনো সুযোগ থাকবে না।দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের মাত্রা ৩০ শতাংশ রয়েছে জানিয়ে তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করে বলেন, কোরবানির পশুর হাটে মাস্কের ব্যবহার ১০০ ভাগ করা না গেলে সংক্রমণের মাত্রা আপ্রাণ চেষ্টা করেও কমানো যাবে না। তাই জনে জনে যেন স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয় সেজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অনুরোধ জানাই।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি চট্টগ্রাম নিউজকে বলেন, ‘জীবিকার তাগিদে সরকার কঠোর লকডাউন শিথিল করলেও জনসাধারণকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। চট্টগ্রামের হাসপাতাল গুলোতে যে জনবল বা অবকাঠামোগত অবস্থা আছে তাতে এতো বিপুল পরিমাণ করোনা রোগির চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা কঠিন। তারপরও সরকারী হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সবাই কাজ করছে। ঈদ যাত্রায় সবাই সচেতন না হলে সংক্রমণ আরো বেড়ে যাবে। এতে নতুন একটা বিপর্যয় সৃষ্টি হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
















