চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে গোলাগুলির ঘটনায় নিহত সরোয়ার বাবলার কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নেওয়া দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
খুনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু স্বীকার না করলেও গ্রেফতার দুইজন সিটির আলোচিত সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের গ্রুপের সদস্য বলে জানায় র্যাব। এছাড়া একই দিন রাউজানে পাঁচজন গুলিবিদ্ধর ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে সিটির চান্দগাঁও থানাধীন হাজিরপুল এলাকায় র্যাবের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন চান্দগাঁও থানার হাজীরপুলের মৃত আবু তাহেরের পুত্র মো. আলাউদ্দিন ও দোস্ত মোহাম্মদের পুত্র মো. হেলাল (৪০)।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭’-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার ৩৫ ঘণ্টার মধ্যে সিটির বিভিন্ন জায়গা অভিযনের পর চান্দগাঁওের আজীমপুর থেকে এ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। দুইজনেই হত্যা মামলার আটজন আসামির মধ্যে অন্যতম। হত্যার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু স্বীকার না করলেও গ্রেফতার দুইজন নগরীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের অনুসারী বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে সরোয়ার বাবলার অপরাধ জগতের আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের।’
এছাড়া একই দিন রাউজানে পাঁচজন গুলিবিদ্ধর ঘটনায় মূল আসামে ইশতিয়াক চৌধুরী অভিসহ তিনজনকে সিটির চকবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি পিস্তল।
বলে রাখা ভাল, বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সিটির বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন হামজারবাগ এলাকায় বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগকালে সরোয়ারকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। একইদিন রাত ৯টার দিকে রাউজানের বাগোয়ান এলাকায় গোলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন অন্তত পাঁছজন।
















