পটিয়া, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলায় যৌথ মালিকানাধীন একটি পুকুর থেকে প্রায় দুই লাখ টাকার মাছ ছুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোর চারটার মধ্যে উপজেলার ভাটিকাইন ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের টেকেরপুনি রাস্তার পাশের পুকুর থেকে মাছ চুরি করে দুবৃত্তরা। এ ব্যাপারে বাদি হয়ে পটিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মো. লিয়াকত আলী। এ ছাড়া, ভাটিখাইন গ্রামে প্রায় রাতেই দু:সাহসিক চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী। এরপরও নিরব ভুমিকা পালন করছে ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় প্রশাসন। সংঘবদ্ধ চোরচক্র প্রায় গভীর রাতে পুকুর থেকে মাছ চুরি, বাড়িঘর থেকে গরু, ছাগল চুরি করছে।
লিখিত অভিযোগে মো. লিয়াকত আলী বলেছেন, ‘পটিয়া থানাধীন ভাটিকাইন ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের টেকেরপুনি রাস্তার পাশে আমাদের যৌথ মালিকাধীন একটা পুকুর আছে। যা বগাহারা মৌজার বিএস খতিয়ান নম্বর- ৪৪২, দাগ নম্বর-১১৮৪। ওই পুকুরে আমরা যৌথভাবে মাছ চাষ করে আসছি। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকাল পাঁচটা ২০ মিনিটের দিকে আমাদের যৌথ মালিকাধীন পুকুর দেখে বাড়িত চলে আসি। পরের দিন বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল দশটার দিকে আমি ও অপর মালিকরা পুকুরে মাছের খাদ্য দিতে দেখি, কে বা কারা আমাদের পুকুরে দেয়া ঝাকগুলো তুলে মাছ ধরে নিয়ে গেছে। আমার ধারণা, অজ্ঞাত নামা চোর বা চোরেরা মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা থেকে বুধবার (৩ এপ্রিল) ভোর চারটার মধ্যে সুকৌশলে আমাদের পুকুর থেকে প্রায় দুই লাখ টাকার মাছ চুরি করে নিয়ে গেছে।’
মো. লিয়াকত আলী বলেন, ‘বগাহারা মৌজার বিএস খতিয়ান নম্বর- ৪৪২, দাগ নম্বর-১১৮৪ এর অন্তর্গত পুকুরটি ১৯৪৫ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রায় ৭৯ বছর আমরা ওয়ারিশরা ভোগ দখলে আছি। এটি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। স্থিত পুকুরে সব ওয়ারিশ যৌথভাবে মাছ চাষ করে আসছি। পুকুর থেকে মাছ চুরির বিষয়টা স্থানীয় গণমান্য লোকজনকে জানানো হয়েছে। থানায় অভিযোগও দিয়েছি।’
থানা পুলিশ বিষয়টির আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক- এমন দাবি লিয়াকত আলীর।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পটিয়া থানার এসআই মো. খাইরুদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘এটা তদন্ত পর্যায়ে আছে। প্রকৃতপক্ষে কি ঘটনা ঘটেছে, তা আমরা জানার চেষ্টা করছি। ওখানে যেহেতু কোন বাড়ি-ঘর নাই, তাই চাক্ষুস কোন সাক্ষ প্রমাণ আমরা পাচ্ছি না। বাকিটা আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে যোগাযোগ করা হলে গ্রামের মেম্বারের সাথে কথা বলতে বলে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বখতিয়ার। পরে, বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেন নি।
















