নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুন লেগে প্রাণ গেছে অন্তত ৩৯ জনের। দগ্ধ হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে এমভি অভিযান-১০ নামে লঞ্চে এ আগুন লাগে। এ সময় বেশির ভাগ যাত্রীই ঘুমিয়ে ছিলেন।
মধ্যরাত। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে চলছিল এমভি অভিযান-১০। যাত্রীরা তখন সবাই গভীর ঘুমে। হঠাৎই চারদিকে শোরগোল, আগুন যেন গিলে খাচ্ছে গোটা লঞ্চকে। ঘুম থেকে জেগে কিংকর্তব্যবিমূঢ় নারী-শিশু-বৃদ্ধসহ সবাই। কান্না-চিৎকারের আর্তনাদে নারকীয় এক পরিস্থিতি।
ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল লঞ্চটি। রাত তিনটার দিকে ঝালকাঠির দিয়াকুল এলাকায় লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে আগুন লাগে। মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে যায় পুরো লঞ্চে। প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন অনেকে। কোনো রকমে লঞ্চটি তীরে ভেড়ান মাস্টার। আহতদের উদ্ধার ঝালকাঠি সদর ও রবিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে।
আহতরা জানায়, লঞ্চটি বরগুনা যাচ্ছিল। এ সময় যাত্রীদের বেশির ভাগই ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি লঞ্চঘাটের কাছাকাছি পৌঁছালে লঞ্চের স্টাফরা ঝালকাঠির যাত্রীদের ঘাটে নামার জন্য ডাকতে থাকেন। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই আগুন দেখতে পেয়ে দিকবিদিক ছুটতে শুরু করে যাত্রীরা। এ সময় কেউ কেউ ঝাঁপিয়ে নদীতে পড়ে। অধিকাংশ যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, লঞ্চে পাঁচ শতাধিক যাত্রী থাকলেও আগুনে ৭০-৮০ জন দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধ বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এর সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি তিনি।
এ ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
















