বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে বৃহস্পতি ও শুক্রবার (১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দু’দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়েছে।
শুক্রবারের বিশেষ অনুষ্ঠানে দর্শক সারিতে বসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শুরু হয় অনুষ্ঠান। ৬টার পর পরই অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা।
দর্শকসারিতে প্রধানমন্ত্রীর পাশের আসনে বসেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে মঞ্চে উপস্থাপন করা হয় নাচ, গান, কবিতা, মঞ্চনাটক ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবিতা ও গান।
এর আগে গতকাল অনুষ্ঠানের প্রথমদিনে বৃহস্পতিবার ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সাথে নিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করান। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুসহ ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন।
পরে মঞ্চে শিল্পীদের সঙ্গে ‘জয় বাংলার জয়-জয় বঙ্গবন্ধুর জয়’ গানটি পরিবেশন করেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। এ সময় তার সঙ্গে আরও অনেক গুণী শিল্পী উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা ভারতীয় রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেন ‘মুজিব চিরন্তন’ শ্রদ্ধা স্মারক।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলা ও ইংরেজিতে প্রকাশিত দুটি স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
.jpg)
এদিনের বিশেষ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, অতিথি, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
তরুণ বয়সে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে অনুপ্রাণিত হওয়ার কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ। তিনি সেই সময়ে তরুণ আইনজীবী ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে গত মার্চের আয়োজনে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এবার বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
















