৮ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ওভারে দরকার ৪ রান। দুবাইয়ে সেই সমীকরণ মেলাতে পারল না পাঞ্জাব কিংস। পেসার কার্তিক তিয়াগির করা শেষ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে পাঞ্জাব তুলতে পারল মাত্র ১ রান। নাটকীয় ম্যাচে মোস্তাফিজুর রহমানের রাজস্থান রয়্যালস জয় পেল ২ রানে।
শেষ ওভারের শুরুতে উইকেটে ছিলেন এইডেন মার্করাম ও নিকোলাস পুরান। মার্করাম ১৮ বলে ২৫ ও পুরান ২১ বলে ৩২ রানে ব্যাট করছিলেন। সেই দুই ব্যাটসম্যান তিয়াগির কোনো জবাবই হতে পারলেন না। দ্বিতীয় বলে ১ রান নিয়ে মার্করাম প্রান্ত বদলের পর আর কোনো রানই হলো না। তৃতীয় বলে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিলেন পুরান। পঞ্চম বলে আউট দীপক হুদা। ১ বলে ৩ রান, ফাবিয়ান অ্যালেন ব্যাটে বল লাগাতে ব্যর্থ হলেন। শেষ ওভারে ১ রান দেওয়া তিয়াগি ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৯ রান।
প্রথমে ব্যাট করে ২০তম ওভারের শেষ বলে রাজস্থান অলআউট ১৮৫ রানে। রান তাড়ায় লোকেশ রাহুল (৪৯) ও মায়াঙ্ক আগারওয়ালের (৬৭) উদ্বোধনী জুটি ১১.৫ ওভারে তুলে ফেলে ১২০ রান। দলটি শেষ ওভার শুরু করে ২ উইকেটে ১৮২ রান নিয়ে। কিন্তু এইডেন মার্করাম ও নিকোলাস পুরানরা মেলাতে পারলেন না সমীকরণ।
বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। রাজস্থান ফিল্ডাররা অবশ্য দুটি ক্যাচ ছেড়েছেন মোস্তাফিজের বলে।
মোস্তাফিজের দল শেষ ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান তুলতেই ৬ উইকেট না হারালে স্কোরটা আরও বড় হতে পারত। পাঞ্জাবের বাঁহাতি পেসার অর্শদীপ সিং ৩২ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
উদ্বোধনী জুটিতে ৫৪ রান তুলে রাজস্থানকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন এভিন লুইস ও যশম্বী জয়সোয়াল। প্রথম ৬ ওভারে লুইসের উইকেটে উঠেছিল ৫৭ রান। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ৪ রানে ফিরলেও জয়সোয়ালের সঙ্গে লিয়াম লিভিংস্টোনের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২৮ বলেই উঠেছে ৪৮ রান। জয়সোয়াল ফিরেছেন ৩৬ বলে ৪৯ রান করে। মহিপাল লোমরোর এরপর ১৭ বলে ৪৩ রান করে ঝড় তুলেছেন।
লিভিংস্টোনের সঙ্গে ১৫ বলে ২০ রানের পর রিয়ান পরাগের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ১৩ বলে আরও ৩০ রান। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে অর্শদীপের বলে লোমরোর আউট হওয়ার পরই খেই হারিয়েছে রাজস্থান।
















