রোহিঙ্গা নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পেতে সহায়তা করার অভিযোগে নির্বাচন অফিসের কমচারী ও শিক্ষকসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুনীতি দমন কমিশন (দুদক)
আজ বুধবার, ১৬ জুন দুপুরে এ মামলা দায়ের বিষটি নিশ্চিত করেন দুদকের উপসহকারি পরিচালক ২ শরীফ উদ্দিন।
আসামিরা হলেন— ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন, চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক নুর আহমেদ, কক্সবাজার উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাঈম উদ্দীন, টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ওবায়দুল্লাহ, ঈদগাঁও পূর্ব গোমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান, কক্সাবাজার সদরের দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকার ফয়জুল্লাহ ও তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুন।
দুদক সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা নাগরিক ফয়জুল্লাহ ও তার স্ত্রী মাহমুদা কক্সবাজার নির্বাচন অফিসের তালিকায় ভুয়া ভোটার হন। কিন্তু দুদকের তদন্তে দেখা যায়, কক্সবাজার উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাঈম উদ্দীন ভুয়া ফরমে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে তাদের নিবন্ধন ফরম আপলোড করেন। এ দুই জনের যাবতীয় ফরম পূরণ ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে দেন ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন।
এদিকে কক্সবাজার নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাঈম উদ্দীন থেকে সব ডাটা সংগ্রহ করেন জয়নালের বোন জামাই চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক নুর আহমেদ। রোহিঙ্গা ফয়জুল্লাহ ও তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুনকে কক্সবাজারে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাঈম উদ্দীনের কাছে নিয়ে আসেন দালাল ওবায়দুল্লাহ ও ঈদগাঁও পূর্ব গোমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান।
মূলত তারা একে অপরের সহযোগিতায় অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে অসৎ উদ্দেশ্যে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয়ে ভুয়া পরিচয়, নাম ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করেন যা ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।