চট্টগ্রাম কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার (১৬ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর চকবাজার থানার প্যারেড কর্ণার (কেয়ারি অংশ) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন ৭ জন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে এক পক্ষ চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের সমর্থক ও অন্য পক্ষ সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সমর্থক।
আহতরা হলেন, ইংরেজী বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল সাইমুন, ডিগ্রী শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল মালেক রুমি, গণিত তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু তোরাব, গণিত চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাফায়েত হোসেন রাজু, ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সিরাজ, একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল, বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শিমু। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া বলেন, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মারামারিতে আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম বলেন, টিনু জেল থেকে বেরিয়ে আবারও বেপরোয়া হয়ে গেছে।
কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বলেন, সভাপতি গ্রুপের বেশ কয়েকজন ছেলে বন্ধ হোস্টেলে বসে মাদক সেবন করে। সেখান থেকে একজনকে রাম দা সহ আটক করে পুলিশ। পরে তারা উত্তেজিত হয়ে বিনা কারণে আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা চালায়।