প্রথমবারের মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলো এবারের টোকিও অলিম্পিকে। হকি ইভেন্ট চলাকালে স্পেনের খেলোয়াড় ডেভিড অ্যালেগ্রের মাথায় হঠাৎ হকিস্টিক দিয়ে বাড়ি মেরে বসেন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় লুকাস রসি। এ ঘটনার বিবাদে জড়িয়ে পড়েন দু’দলের খেলোয়াড়রা। উপায় না পেয়ে তাড়াতাড়ি খেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। খেলার মাঠে এমন ন্যক্কারজনক আচরণে সমালোচনার মুখে আর্জেন্টিনা দল।
দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এর মাহাত্ম্য। কারণ অলিম্পিক শুধু খেলাই নয়। রচনা করে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। শত্রুকেও পরিণত করে বন্ধুতে। দেশে দেশের বৈরি সম্পর্কও খেলাধুলার মাধ্যমে হয়ে ওঠে শান্তির প্রতীক। তবে, কখনো কখনো ক্রীড়াযজ্ঞেও ঘটে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। টোকিও অলিম্পিক শুরুর আগে ছিল নানা অনিশ্চয়তা। তবে, প্রতিকূলতা শেষে র্নিধারিত সময়েই মাঠে গড়ায় আসর।
করোনার চোখ রাঙানির মধ্যেও আসর মাতাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদরা। এরমধ্যেই প্রথমবারের মতো ন্যক্কারজনক এক ঘটনা ঘটল টোকিওতে। অলিম্পিক হকির ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল স্পেন ও আর্জেন্টিনা। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল দু’দল। হঠাৎ পেশীতে টান লাগায় মাটিতে শুয়ে পড়েন স্পেনের ডেভিড অ্যালেগ্রে।
২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সবকটি অলিম্পিকে স্প্যানিশদের জার্সিতে খেলেছেন তিনি। অভিজ্ঞ এই খেলোয়াড় সবার কাছেই বেশ প্রিয়। মাঠ পড়ে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় হলেও, অ্যালেগ্রের বিপদে দ্রুত এগিয়ে আসেন আর্জেন্টিনা দলের মাতিয়াস রে।
অ্যালেগ্রের পড়ে যাওয়া একেবারেই সহ্য হয়নি আর্জেন্টিনার আরেক খেলোয়াড় লুকাস রসির। সতীর্থ যেখানে এগিয়ে গেছেন শুশ্রুষায়, সেখানে রসি এগিয়ে এসে অ্যালেগ্রের মাথার পেছনে বাড়ি মেরে বসেন হকি স্টিক দিয়ে। এ ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়ে স্পেনের বাকি খেলোয়াড়রা। ক্ষুব্ধ হযে রসির দিকে তেড়ে আসেন তারা। ডেলাসতো রীতিমত গলা ধরে সরিয়ে দেন তাকে।
এমন ঘটনায় অবাক হয়ে পড়েন আম্পায়র ও অফিসিয়ালরা। অবস্থা বেগতিক দেখে তাড়াতাড়ি ম্যাচ শেষ করে দেন আম্পায়ররা। ১-১ ড্রয়ে শেষ হয় খেলা। ম্যাচ শেষেও মাঠের বাইরে টানেলে গিয়েও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু’দলের খেলোয়াড়রা। অলিম্পিকের মতো এমন ঘটনা লজ্জায় ফেলে দিয়েছে আর্জেন্টিনাকে। আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিকেল ৫টায় উদ্বোধন হয় টোকিও অলিম্পিকের আসর। দর্শকহীন গ্যালারির সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে চলে উদ্বোধনী কর্মযজ্ঞ। চার ঘণ্টাব্যাপী চলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। যার বেশিরভাগ পারফরমেন্সই হয়েছে ভার্চুয়ালি।
যদিও দেশটির সরকারের কাছে স্থানীয়দের দাবি ছিল, অলিম্পিক বাতিল করা হোক। টোকিও শহরে কোনো উৎসব চান না সে দেশের সাধারণ নাগরিকরা। স্থানীয়রা বলছেন, করোনার মধ্যে এমন আসর তারা চান না। প্রত্যেক নাগরিক ঝুঁকির মধ্যে সময় পার করছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন টোকিওর নাগরিকরা। আগামী ৮ আগস্ট পর্দা নামাবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিকের।