নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির মানবসম্পদ উইং থেকে জারি করা সাম্প্রতিক এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই যারা ব্যাংকে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ দক্ষতা মূল্যায়ন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ওই পরীক্ষায় অংশ না নিলে বা পাস করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের চাকরি ও ভবিষ্যৎ পদোন্নতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ সিদ্ধান্ত নিয়ে রোববার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে লিখিতভাবে মতামত জানিয়েছেন চট্টগ্রামের পটিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য গাজী শাহাজাহান জুয়েল।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের হঠাৎ করে এমন পরীক্ষার আওতায় আনা মানবিক দিক থেকে অনুপযুক্ত ও অন্যায্য। এতে অভিজ্ঞ অনেক কর্মীর চাকরি ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে এবং তাঁদের পারিবারিক নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়বে।
তিনি গভর্নরের কাছে বিশেষভাবে মানবিক বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন, যেন ব্যাংকের এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দীর্ঘদিনের কর্মীদের কর্মসংস্থান ও পেশাগত মর্যাদা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
চিঠি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গাজী শাহাজাহান জুয়েল বলেন, “যারা ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করছে তারা ইতোমধ্যেই দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হয়েছে। দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে পরীক্ষার যাচাই-বাছাই দোহাই দিয়ে একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক কর্মীকে চাকরিচ্যুত করলে বেকারত্ব সমস্যা বেড়ে যাবে। সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। তাই ধাপে ধাপে তাদের আরো দক্ষতা উন্নয়ন এবং মানবিক দিক বিবেচনায় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। কিন্তু পরীক্ষার নামে কাউকে চাকরিচ্যুত করা অমানবিক।”
ব্যাংকের ভেতরের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা বছরের পর বছর সৎভাবে কাজ করছি। এখন হঠাৎ পরীক্ষার শর্ত চাপিয়ে দিলে মানসিক চাপে পড়তে হবে। পরীক্ষার দোহাই দিয়ে চাকরিচ্যুত করা এক ধরনের অমানবিক ও জুলুম।’’
অন্যদিকে ব্যাংকের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘‘পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ব্যাংকের সেবা ও দক্ষতার মান নিশ্চিত করার জন্য। তবে দীর্ঘদিনের কর্মীদের ক্ষেত্রে এটি কীভাবে প্রয়োগ হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।”