বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের ক্ষমতাবলে এবং জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রামের সার্বিক সহায়তায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় কর্তৃক আজ ৬ জুলাই শেরশাহ বাজার, বহদ্দার হাট কাঁচাবাজার ও চাক্তাই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সকাল ১০টা হতে পরিচালিত অভিযানে ১১ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ৭৭ হাজার টাকা প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে অননুমোদিত রং, নকল আজিনোমতো টেস্টং সল্ট, অননুমোদিত ঔষধ, মেয়াদ বিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ধ্বংস করা হয়।
এপিবিএন-৯ এর সহায়তায় উপর্যুক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ্, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) জনাব পাপীয়া সুলতানা লীজা ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
বায়েজিদ থানার শেরশাহ বাজারে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় জান্নাত স্টোরকে ২ হাজার টাকা , আল্লাহর দান স্টোরকে ২ হাজার টাকা, মাহিন স্টোরকে ২ হাজার টাকা, নূর স্টোরকে ২ হাজার টাকা, চাঁদপুর স্টোরকে ২ হাজার টাকা, সৌদিয়া স্টোরকে ২ হাজার, ফেনী স্টোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। নোংরা পরিবেশে মসলা চূর্ণ ও মেঝেতে সংরক্ষণ করায় আকবর এন্টারপ্রাইজকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারের ইস্রাফিলের মসলার দোকানকে কাপড়ে ব্যবহার্য রাসায়নিক রং কে খাবারের রং হিসেবে বিক্রয় ও নকল আজিনোমোতো টেস্টিংসল্ট রাখায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রায় ৩ কিলোগ্রাম বর্ণিত রং ধ্বংস করা হয়।
মিয়া খান নগর এলাকার বি এস মেডিকোকে অননুমোদিত বিদেশি ঔষধ, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ও মেয়াদ বিহীন কাটা ঔষধ সংরক্ষণ করায় ১৩ হাজার, মক্কা ফার্মেসিকে একই অপরাধে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত ঔষধ ধ্বংস করা হয়।
বাজারসমূহ পরিদর্শনকালে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক পরিধানপূর্বক নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য ক্রয়- বিক্রয় এবং পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতারিত হলে অধিদপ্তরের হট লাইন নম্বর ১৬১২১ এ অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করা হয়। জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।