বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তায় দলের অতীত ঐতিহ্য ও বর্তমান পরিকল্পনা নিয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৪টায় চন্দনপুরাস্থ আহ্বায়কের বাসভবনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ রিয়াজুল আনোয়ার চৌধুরী সিন্টু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম জেলা কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল আনোয়ার বলেন, “ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত মানুষের কল্যাণকর ধর্ম। সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তায় ইসলামের পূর্ণ জীবনবিধান অনুসরণে প্রত্যেক মুসলমানকে ঐক্যের রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, ইসলামের শাশ্বত রাজনৈতিক ভাবনাকে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার তকমা দিয়ে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ধর্মনিরপেক্ষ ফ্যাসিস্ট শক্তি ও উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। মুসলিম প্রতিভাবানদের সরকারি সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আহ্বায়ক লায়ন সিএসকে সিদ্দিকী এবং দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আহ্বায়ক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী।
সিএসকে সিদ্দিকী বলেন, “আল-কুরআনে মুসলিম ঐক্য বজায় রাখার নির্দেশনা রয়েছে। আকীদাগত ভিন্নতা থাকলেও ইসলামী রাজনৈতিক দর্শনে ঐকমত্য জরুরি -এটাই মুসলিম লীগের মৌলিক মিশন।”
প্রবীণ নেতা লিয়াকত আলী বলেন, “৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থার দাবি উত্থাপন করেছে। এখন মুসলিম পুনর্জাগরণে মুসলিম লীগের আদর্শে জনমত গঠনের সময়।”
সভায় জনপ্রত্যাশিত “জুলাই ঘোষণাপত্র”কে “গণঅভ্যুত্থানের রূপকল্প” হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এছাড়া আগামী ৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে পথসভা, পরবর্তীতে র্যালি এবং সিটি মেয়রের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,কাজী নাজমুল হাসান সেলিম, জাহাঙ্গীর হাসান, হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ এনাম উল্লাহ, মনছুর মাহমুদ খান, কাজী আখতার উদ্দীন, মোক্তার আহমদ, সৈয়দ মিনহাজ উদ্দীন ও এমএম আবু তালেব।
রিয়াজুল আনোয়ার চৌধুরী সিন্টু বলেন, “চট্টগ্রাম মুসলিম ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সমৃদ্ধ অঞ্চল। এখানকার মুসলমানদের রাজনৈতিক মনোভাব মুসলিম পুনর্জাগরণে উদ্বুদ্ধ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্র সমাজকেও জাগিয়ে তুলতে হবে।”