চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে জোরপূর্বক ভূমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলন করেন মো. রফিকুল ইসলাম বাবলু।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চট্টগ্রাম শুলকবহর মডার্ন হাউজিং সোসাইটি বা খুলশী কলোনী বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বাবলুর জায়গা জোরপূর্বক অবৈধভাবে দখল এবং স্থাপনা নির্মাণ করছে সন্ত্রাসীরা। তপশীলোক্ত সম্পত্তিসহ অপরাপর সম্পত্তিতে ভোগ দখল থাকা অবস্থায় তাদের নামে পিএস খতিয়ান নম্বর- ৫৩/৫২ প্রচারিত আছে। বর্ণিত নূর আহাম্মেদ গং, ওমর মিয়া গং ও বাচা
সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই সম্পত্তিসহ অপরাপর সম্পত্তির মূল মালিক ছিলেন কাছিম আলীর পুত্র দুলা মিঞা. লাল মিঞা ও বাচা মিঞা। তাদের নামে আরএস খতিয়ান নম্বর-১২৫, ১৫৫ সমহারে সঠিক ও শুদ্ধভাবে প্রচারিত আছে। দুলা মিঞার মৃত্যুতে তৎ ওয়ারিশ নূর আহাম্মন গং, লাল মিয়ার মৃত্যুতে তৎ ওয়ারিশ ওমর মিয়া গং এবং আরএস রেকর্ডীয় বাচা মিঞার নগদ টাকার প্রয়োজনে তপশীলোক্ত সম্পত্তিসহ ২ দশমিক ৭৭ একর সম্পত্তি বিগত ১৯৬০ সালের ১৮ আগস্ট সম্পদিত এবং বিগত একই বছরের ১৯ আগস্ট রেজিস্ট্রিকৃত ৫৫৯২ নম্বর দলিল মূলে চকবন্দ উল্লেখে মোছাম্মৎ নাজমা ছেরাজে রব্যক্তির নিকট বিক্রয় করে এবং দখল অর্পণ করে নিঃস্বত্ববান হন। মোছাম্মৎ নাজমা ছেরাজ তৎ খরিদা সম্পত্তিতে ভোগ দখল থাকা অবস্থায় তপশীলোক্ত সম্পত্তিসহ তৎ খরিদা সমুদয় তথা ২ দশমিক ৭৭ একর সম্পত্তি বিগত ১৯৬৭ সারেল ১৯ অক্টোবর ৫৯৫৪ নম্বর দলিল মূলে এমএ মোতালেবের নিকট বিক্রয় করেন। এমএ মোতালেবের নামে তপশীলোক্ত সম্পত্তিসহ অপরাপর সম্পত্তি সংক্রান্তে পিএস নামজারি খতিয়ন নম্বর ৫৩ সৃজিত আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রাক্তন মেয়র এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ালীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম আওয়ামী যুবলীগের প্রাক্তন আহ্বায়ক ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু সহ স্থানীয় কমিশনারের ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে আমার জায়গা বিগত অনেক বছর যাবত দখল করে রেখেছিল। চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজরা একাধিক হত্যা মামলাল আসামী জেলে আসা যাওয়া তাদের মামুলি ব্যাপার থানা পুলিশকে তারা অবৈধ পন্থায় উপার্জিত অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করে তাদের অপকর্ম অবাধে পরিচালিত করে।’
‘আবুল হাসান সুমন ও আবদুল মান্নান গংরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ও দুই নম্বর গেইট, মুরাদপুর ও চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে রামদা, কিরিচ এবং অস্ত্র নিয়ে ছাত্র জনতার উপর অতর্কিত গুলি বর্ষণ এবং হামলায় লিপ্ত হয়ে অনেক নিরীহ ছাত্র জনতাকে আহত করেন।তাদের হেফাজতে রয়েছে অবৈধ অস্ত্র, তারা মাদক ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যু। এমনি অবস্থায় অবৈধ দখল হতে আমার স্বত্ত্বীয় তপশীলোক্ত সম্পত্তির ডিজিটাল পরিমাণ (সার্ভে) করতে গেলে গত ১৪ জুলাই আমাদেরকে বহিরাগত লোকসহ অবৈধ অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা, নাজেহাল/হেনস্ত করে এবং জমির পরিমাপের জন্য সার্ভেওরদের (পরিমাপ) যন্ত্রপাতিগুলো আটকিয়ে রাখে এবং আমাদের প্রাণনাসের চেষ্টা করে এবং অবরুদ্ধ করে রাখে।’
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে তার এই জায়গায় তিনি আসতে পারেন নি। ৫ আগষ্ট পট পরিবর্তন পর এসে দেখছেন তার এই ২৮ গন্ডা জায়গায় কেয়ার টেকার আবুল হাসান সুমন গংসহ অন্যান্যরা দখল করে আছে। রফিকুল ইসলাম এখনও তার ক্রয়কৃত জায়গায় যেতে পারছেন না গেলেও জীবন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।
এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনাসহ প্রসাশনকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানান রফিকুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ক্যাপ্টেন মোবারক হোসেন, প্রিন্সিপাল মুসা সিকদার, মুসা সিকদার।