হেফাজতে ইসলামের কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে গিয়েছিলেন সংগঠনটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। বৈঠকের পরদিন তিনি বললেন, দাবি পূরণের মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ব্যক্তি স্বার্থে নয়, জাতীয় স্বার্থে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদরাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাবুনগরী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে আমরা আলেম-উলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ এবং কওমি মাদরাসা খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছি।
বাবুনগরী বলেন, আমাদের দাবিগুলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেনে নেয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করছি সরকার দ্রুত আমাদের দাবি মেনে আলেম-উলামাদের মুক্তি দেবেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে বহু নিরীহ আলেম-ওলামাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারাগারে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বৈঠকে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। আমরা জানিয়েছি, হেফাজতের বিরুদ্ধে কথিত যে সহিংসতার অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়।
হেফাজতের কোনও নেতাকর্মী সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিল না। কিছু দুষ্কৃতকারী হেফাজতের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছে। তাদের খুঁজে বের করা দরকার। নিরীহ আলেম-ওলামাদের এসবের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম, সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল আওয়াল, প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী ও মাওলানা জহুরুল ইসলাম।
এর আগে সোমবার (৫ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে দেখা করেন জুনায়েদ বাবুনগরী। দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মন্ত্রীর বাসা থেকে তিনি একটি মাইক্রোবাসে করে বেরিয়ে যান। তবে তখন তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান।
উল্লেখ্য, গেল মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংস ঘটনার পর হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় সরকার। সংগঠনের প্রায় অর্ধশত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর গ্রেপ্তার নেতাদের বাদ দিয়ে হেফাজতের নতুন কমিটি গঠন করা হয়।