চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও পোর্ট্রেট সম্পাদক রূপম চক্রবর্তী বলেছেন মুসাফির মানে ভাসমান মানুষদের আহারের ঠিকানা। মুসাফির মানেই রাস্তার ধারে অসহায়-ভাসমান মানুষদের কাছে রাত-দিন খাবারের থলে নিয়ে ছুটে চলা।
সোমবার (৫ জুলাই) ৫ দিনের কঠোর লকডাউনে মানবিক সংগঠন মুসাফিরের উদ্যোগে ভাসমান মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ কালে একথা বলেন।
সিনিয়র সাংবাদিক রূপম চক্রবর্তী বলেন, আমি দেখেছি গত বছর থেকে শুরু হওয়া করোনার মধ্যে মানুষদের মাঝে মুসাফির রান্না করা খাবার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। প্রতিনিয়তই মুসাফির ছুটে চলেছে অসহায়দের কাছে। সাংবাদিক মহরম এর নেতৃত্বে পরিচালিত মুসাফিরের কার্যক্রমে আমি অভিভূত। তাদের এই মানবিক কাজ আর বিস্তার লাভ করুক এ প্রত্যাশা করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মুসাফিরের প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক পীরজাদা মুহাম্মদ মহরম হোসাইন, স্পিকার কাউন্সিল বাংলাদেশের সিইও ইমরান আহমেদ, মুসাফিরের সদস্য আকলিমা আক্তার মনি, সাংবাদিক কামাল হোসেন, ফটোসাংবাদিক সৌরভ শুভ্র প্রমূখ।
মুসাফিরের প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক পীরজাদা মুহাম্মদ মহরম হোসাইন বলেন, ভাসমান অসহায় মানুষরাও আমাদের মত মানুষ। তাদের করুণা নয়, ভালোবাসার জন্য আমাদের এ আয়োজন। মহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আদায় করছি তাদের মুখে একবেলা খাবার তুলে দিতে পারছি।
তিনি বলেন মুসাফির পাশে, জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাথে আছি আমিও।
মুসাফির বিগত দিনের মতো এবারও চলমান লকডাউনে অসহায় ভাসমান মানুষদের মাঝে খাবার তুলে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। আজ ৫ দিনের মত চলমান কঠোর লকডাউনে লালদীঘি, শাহ আমানত মজার লেন, বকশির হাট মোড়, আন্দরকিল্লা, চেরাগী পাহাড়, প্রেসক্লাব এলাকা সমূহে ৩ শতাধিক ভাসমান মানুষের মাঝে খাবার তুলে দেওয়া হয়।
আর্তমানবতা মূলক সামাজিক সংগঠন ‘মুসাফির’ বিগত বছরের লকডাউনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার ভাসমান মানুষদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন।