চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর দিদার মার্কেটস্থ সাফা আর্কেডে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম অঞ্চল নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মলনে চট্টগ্রাম অঞ্চল জামায়াতের ২৩ জন প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সমাজসেবক মো. ফরিদুল আলমকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী।
অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সাংসদ সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে ক্লান্তিহীন পরিশ্রম অপরিহার্য। দায়িত্বশীলদের পূর্বের সব পরীক্ষার চেয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে মাঠপর্যায়ে কাজ করে যেতে হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ তাহের আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীলদের প্রস্তুতি নিতে হবে। দিনের পথে যারা থাকে তারা পরস্পর ভাই-ভাই। এই সম্পর্ক পৃথিবীর সব সম্পর্কের ঊর্ধ্বে। সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানামুখী সংকট, সংঘর্ষ, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এই দায়িত্বশীলদেরই মোকাবিলা করতে হবে।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ ও সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী, অঞ্চল টিম সদস্য আহছানুল্লাহ, মুহাম্মদ জাফর সাদেক, মাওলানা মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান, নুরুল আমিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমির আলাউদ্দিন শিকদার, কক্সবাজার জেলা আমির নুর আহমদ আনোয়ারী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা আমির সৈয়দ আব্দুল মোমেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা আমির মাওলানা আব্দুস সালাম আজাদ, রাঙামাটি জেলা আমির আবদুল আলিম প্রমুখ।
সমাবেশে দারসুল কুরআন পেশ করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘অতীতের তুলনায় বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। দেশের মানুষ দেশকে নতুন আঙ্গিকে দেখতে চায়। দেশের আমানত তারা জামায়াতে ইসলামীকে তুলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে, রাজনৈতিক পরিসর মারাত্মকভাবে সংকুচিত করেছে এবং তাদের বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী ও লুটপাটের শাসনামলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’