ঢাকা ও চট্টগ্রামে আজ থেকে মাসব্যাপী বইমেলা শুরু হয়েছ। আজ শনিবার (১ ফ্রেরুয়ারি) বিকেল ৩টায় নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম মাঠে বইমেলার উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহায়ণ, গণপূর্ত ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আদিলুর রহমান বলেন, ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ফ্যাসিবাদ যাতে পুনরায় ফিরতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের অনেকেই মুঠোফোন ও মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে। সময়, অর্থ, স্বাস্থ্য সবাই শেষ করছে এর পেছনে। এতে তারা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বই অন্যতম বন্ধু, যা তাদের মুঠোফোন ও মাদকের আসক্তি থেকে বের করে সৃজনশীল মেধাবী প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
চট্টগ্রামে এবারের বই মেলায় ঢাকার ৪৪টি অভিজাত প্রকাশনী সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থাকে ১৪০টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন শহীদ জিয়া স্মৃতি পাঠাগার। নিরাপত্তার স্বার্থে সম্পূর্ষ মেলা প্রাঙ্গণ থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায়। মাসব্যাপী চলা এবারের বইমেলায় রবীন্দ্র ও নজরুল উৎসব, লেখক সমাবেশ, কুইজ প্রতিযোগিতা, বসন্ত উৎসবসহ নানা আয়োজন থাকছে। চট্টগ্রামের এই বই মেলা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ছুটির দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই বইমেলা।
অন্যদিকে আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে জাতির ঘাড়ে ১৬ বছর ধরে চেপে থাকা স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে। অভ্যুত্থানে আমাদের সাহসী তরুণদের অভূতপূর্ব আত্মত্যাগ বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এ বিজয়ের মাধ্যমে এসেছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার ইস্পাত কঠর প্রতিজ্ঞা।’