চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির সৈয়দ আবদল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘বাংলাদেশের একমাত্র সমস্যা হচ্ছে দুর্নীতি। যারা এ দেশ শাসন করেছে ৫৫ বছর, তারা কেউই দুর্নীতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারেনি। একটা দুর্নীতিমুক্ত, জ্ঞানসম্পন্ন, নৈতিকতা সম্পন্ন ও মানবিক সমাজ আমাদের দরকার। এখন এটি অর্জনের সময় এসেছে। এটি ইতিহাসের একটি পরিবর্তন হতে পারে। আমরা এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছি, যা আমাদের জন্য একটা সুযোগ তৈরি করেছে।’
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম ক্লাবে আয়োজিত ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এনডিএফের সহ সভাপতি ডাক্তার একেএম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে ডাক্তার মো. রেজাউল করিম ও ডাক্তার ইরফানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান, কর্মপরিষষের সদস্য, সাবেক সাংসদ আমির শাহজাহান চৌধুরী, এনডিএফের সভাপতি ডাক্তার নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ডাক্তার মাহমুদ হোসেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মজলিশে শূরা সদস্য মুহাম্মদ নুরুল আমিন ও মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন চৌধুরী। সম্মেলনে দারসুল কোরআন পেশ করেন ডাক্তার মাহমুদুর রহমান।
সম্মেলনে বক্তব্য দেন ফোরামের অফিস সম্পাদক ডাক্তার জিয়াউল হক, কোষাধ্যক্ষ ডাক্তার সায়দুর রহমান, ডাক্তার মো. শাহাব উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ডাক্তার আনোয়ারুল আজিম ও ডাক্তার তালিবুল ইসলাম রুশু।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর মজলিশে শূরা সদস্য মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি খায়রুল বাশার ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, নগর কর্মপরিষদ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
বক্তব্য দেন স্থানীয় নেতা ডাক্তার আবু নাছের, ডাক্তার খায়রুল আনোয়ার, ডাক্তার এটিএম রেজাউল করিম, ডাক্তার এসএম কামরুল হক, ডাক্তার মো. ইউসুফ, ডাক্তার উম্মে খায়রুন ফাতেমা, ডাক্তার মাহমুদুল হক মেজবাহ, ডাক্তার কামরুল হাসান, ডাক্তার নুরুল ইসলাম।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের আরো বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করে গেছে। ন্যাশনাল ডক্টর’স ফোরামের সদস্যদের সেবার মাধ্যমে, নিজেদের কাজ ও দক্ষতার মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। প্রফেশনাল দক্ষতার মাধ্যমেই এ পরিবর্তন আনা সম্ভব।’
তিনি আরো বলেন, ‘মানুষ যখন জানবে এনডিএফের চিকিৎসকরা জামায়াত করে, তখন মানুষ বুঝে নিবে এ চিকিৎসক ইথিক্যাল প্র্যাক্টিস করে। কখনো অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেয় না। এ চিকিৎসক রোগীর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে। নীতি নৈতিকতার ওপর অবিচল থাকে। রোগী থাক, আর না থাক নৈতিকতা বিসর্জন দেয় না।’