চট্টগ্রাম: ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন মানুষ হত্যা শুরু করে, তখন আওয়ামী লীগের কোন নেতাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রাক্তন সভাপতি শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘তখন তারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। ঠিক ৭১ সালের মত ২০২৪ সালে এসেও আওয়ামী লীগের নেতারা পেছনের দরজা দিয়ে নেতাকর্মীদের এতিম করে ভারতে পালিয়ে গেছে। তাহলে আপনার কি বিশ্বাস করেন ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে আওয়ামী লীগ না পালিয়ে থাকবে? শেখ মুজিব পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন সেই কথা তাজউদ্দীন আহমেদের মেয়ের লিখিত বইতেও লেখা আছে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। আর আওয়ামী লীগের কথিত নেতারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাজনীতিকে ব্যবসায় হিসেবে নিয়ে ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন।’
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিটির লালদিঘির পাড়স্থ জেলা পরিষদের চত্বরে কোতোয়ালী থানা বিএনপির পক্ষ থেকে চসিকের মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনা, বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আবুল হশেম বক্কর।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ‘২৫ শেষ মার্চ যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা শুরু করল, তখন মেজর জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট যেটি চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যানের পাশে আছে, সেখানে সৈনিকদের একত্রিত করে জিয়াউর রহমান ২৬ মার্চ প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। জিয়াউর রহমান সেদিন বলেছিলেন, আজ থেকে আমরা স্বাধীন। স্বৈরাচারের দোসরেরা ইতিহাস থেকে মেজর জিয়ার সেই স্বাধীনতার ঘোষণাকে মুছে দিতে চেয়েছিল।’
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা লক্ষণ সেনের মত পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছে। আর সেই আন্দোলনে চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ হয়েছে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরাম। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা স্বৈরাচারমুক্ত নয়া বাংলাদেশ পেয়েছি। যার প্রেক্ষিতে আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি, স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্বৈরাচার কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছে।’
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতা হামিদ হোসাইন, নুরুল আকতার, একেএম পেয়ারু, থানা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আক্তার খান, এসএম মফিজ উল্লাহ, আলী আব্বাস খান, খন্দকার নুরুল ইসলাম, বিএনপির নেতা জসিম উদ্দিন মিন্টু, আবু মহসিন চৌধুরী, আমিনুর রহমান মিয়া, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, বিএনপির নেতা সাব্বির আহমদ, জসিম মিয়া, আবু ফয়েজ, নূর হোসেন নূরু, দিপক চৌধুরী কালু, দিদারুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, জসিম উদ্দিন, সেলিম খান, আব্দুল মান্নান, মো. সেলিম, আবুল কালাম, মো. ইদ্রিস, মো. ফিরোজ, কামাল উদ্দিন, মো. বেলাল, আবুল হাসেম, আবু নাসের সাজ্জাদ, মো. অভি, মো. সালাউদ্দীন, ইমরান সিদ্দিকী জ্যাকসন, মো. ওয়াসিম, স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা এন মো. রিমন, আব্দুল্লাহ আল হাসান সোনা মানিক, আবু ছালেহ আবিদ, ইয়াকুব আলী জুয়েল, আরিফ সোহেল, আইনুল ইসলাম জুয়েল, কিং মোতালেব, মাঈনুদ্দীন খান রাজিব, জাহিদুল হক সোহেল, মোহাম্মদ ফয়সাল, শাহাদত হোসেন নাবিল, শাহনেওয়াজ তুষান।