চট্টগ্রাম: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী আমার কাছে কোন চাঁদা দাবি করেননি। আমি তাকে কোন চাঁদাও দেইনি। বিএনপির জাতীয় পর্যায়ের এই নেতাকে বিতর্কিত করতে এমন ইস্যু সামনে আনা হয়েছে বলে দাবি রপ্তানিকারক মো. ফোরকানের।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে দল থেকে ইস্যুকৃত কারণ দর্শানো নোটিশে তার নাম জড়িয়ে অভিযোগ উত্থাপন প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন রাউজানের প্রবাসী ব্যবসায়ী মো. ফোরকান। এই বিবৃতির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছেও।
বিবৃতিতে মো. ফোরকান দাবি করেছেন, তার কাছে যারা চাঁদা দাবি করেছেন, তাকে মারধর করেছেন, সেই ব্যাপারে তিনি রাউজান থানায় মামলা করেছেন এবং ঘটনাস্থল রাউজান সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের পাশে সিসিটিভি রয়েছে। ফলে, মামলায় উল্লেখিত ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সংরক্ষিত আছে।
বিবৃতিতে মো. ফোরকান বলেন, ‘আমার করা চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগে মামলার বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে প্রকৃত অপরাধীকে বাচাঁনোর জন্য পরিকল্পিতভাবে কোনপক্ষ হয়তো ফায়দা লুঠার চেষ্টা করছে। প্রকৃত অপরাধী শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি। আমাকে ঘায়েল করতে বিএনপির জাতীয় পর্যায়ের নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে এমন চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে। বিএনপির দেয়া শোকজ নোটিশে নিজের নাম দেখে আমি বিস্মিত।’
বিবৃতিতে এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘বিএনপির দেয়া কারণ দর্শানো নোটিশের (গ) দফায় আমার কাছে গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরী এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে, সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাকে নির্মম শারীরিক নির্যাতন করেছেন- মর্মে অভিযোগ আনা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরীকে কোন চাঁদা দেইনি কিংবা তিনি নিজে আমার নিকট কোন চাঁদা দাবি করেননি। যারা আমার কাছে চাঁদা দাবি এবং আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে সুর্নিদিষ্টভাবে তাদের তিনজনের নাম ও অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে আমি রাউজান থানায় (মামলা নম্বর- ১২ (১০) ২০২৪) দায়ের করেছি।’
আইনজীবী মুহম্মদ এনামুলের মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. ফোরকান বলেন, ‘রাউজান তথা বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে সবারই ধারণা রয়েছে। তার ভাই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও ভাতিজা সামির কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যাচারের অংশ করা হয়েছে আমাকে। কিন্তু, তিনি আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন নি ; আমিও চাঁদা দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। এই বিষয়ে আমি কোন অভিযোগও করিনি।’
উল্লেখ্য, বিভিন্ন জনের কাছে চাঁদা দাবির পাঁচটি অভিযোগ এনে গিয়াস কাদের চৌধুরীকে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) শোকজ করেছিল বিএনপি। শোকজ নোটিশে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মো. ফোরকানের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল।