চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর যারা ছিলেন, তারা ওয়ার্ডে পাঁচ থেকে সাতজন পরিচ্ছন্ন কর্মীর নামে ১৫-১৬ হাজার টাকা বেতন নিত। আর সেসব প্রত্যেক কর্মীকে ৭-৮ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাকিটা তাদের (কাউন্সিলর) পকেটে রেখে লুপাট করেছে। এ পরিচ্ছন্ন কর্মীদের অনেকেই আওয়ামী লীগের, যুবলীগের; তাদের এখন পরিচ্ছন্ন কাজে দেখাও যায় না।’
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে সিটির ওয়াজেদিয়া মাদ্রাসা মাঠে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পীরে কামেল মাওলানা ওয়াজেদ আলী খান ও মাওলানা আতিকুল্লাহ খানের বার্ষিক ইছালে ছওয়াব ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ‘আমি বলতে চাই, যারা পরিচ্ছন্ন কর্মী আছেন, তারা যদি সিটি পরিচ্ছন্নের কাজ না করেন, তাদের বাদ দিয়ে নতুন নগর পরিচ্ছন্ন কর্মী নেওয়া হবে। যারা প্রত্যেকটা ওয়ার্ডকে পরিস্কার রাখবেন। নালা নর্দমা পরিস্কার রাখবেন।’
চট্টগ্রাম শহর সকলের উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘এ শহরটা একা আমি মেয়র শাহাদাতের নয়, এ শহরটা হচ্ছে আপনাদের সকলের, এই চট্টগ্রাম হচ্ছে আপনাদের সকলের। তাই, সকলকে এ শহরটাকে সুন্দর করতে হবে, পরিষ্কার করতে হবে। একটা ময়লা আমি রাস্তায় না ফেলে সেটা আমি ডাস্টবিনে ফেলব। একটা মিনারেল ওয়াটার বোতল যেটা আমি রাস্তায় ফেললে, নালায় ফেললে জলাবদ্ধতা হবে, সেটা আমি ডাস্টবিনে ফেলব। একটা পলিথিন রাস্তায় না পেলে আমি ডাস্টবিনে ফেলব। এ ধরনের অভ্যাস আমাদের গড়তে হবে।’
ওয়াজেদিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জাহেদ হোসেন খানের সভাপতিত্বে মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রাক্তন আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রাক্তন সহ সভাপতি মোরশেদুল আলম কাদেরী, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান হেলালী, কুমিল্লা ওয়াজেদিয়া খানকার সভাপতি আব্দুল হক।
উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতা শামসুল আলম, জিএম আইয়ুব খান, ইদ্রিস আলী, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, আবদুর রহিম, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. ইলিয়াছ, সাধারণ সম্পাদক এসএম আবুল কালাম আবু, জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. বেলাল।