চট্টগ্রাম: জনস্বাস্থ্যের মানোন্নয়নে সড়কে ঝাড়ু দেয়াসহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের যে সব কাজ রাতে করা সম্ভব, সেগুলো রাতেই শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র শাহাদাত হোসেন।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সিটির টাইগারপাসস্থ চসিকের কার্যালয়ে সংস্থাটির পরিচ্ছন্ন বিভাগের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ নির্দেশ দেন তিনি।
মত বিনিময়কালে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘দিনের বেলা পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চললে ধুলোবালি ওড়ে, ময়লা-আবর্জনার দূর্গন্ধ ছড়ায়। এতে নাগরিকরা কষ্ট পায় এবং বাতাসে ওড়া ধুলা-বালি এলার্জি, ফুসফুসজনিত সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যহানী রোগে আক্রান্ত হয়। এ জন্য জনস্বাস্থ্যের মানোন্নয়নে সড়ক ঝাড়ু দেয়াসহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের যে সব কাজ রাতে করা সম্ভব, সেগুলো রাতেই করতে হবে।’
“আমি রোববার থেকে প্রতিদিন দুইটি করে ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কার্যক্রম দেখব। কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্মস্থলে পাওয়া না গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাজ না করলে চাকরি থাকবে না। গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি আমার মূল ইশতেহার ছিল। আমি এগুলো বাস্তবায়ন করব।’
সিটিকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জনগণের সহযোগিতা কামনা করে মেয়র বলেন, ‘সিটিকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে নাগরিকদেরও সচেতন ভূমিকা রাখতে হবে। বিশেষ করে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে যথাস্থানে ময়লা ফেলতে হবে। বন্ধ করতে হবে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার। সিটিকে পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রাথমিকভাবে আমরা নাগরিকদের সচেতন করব, পরবর্তী প্রয়োজনে জরিমানা করব।’
এ সময় মেয়র পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সিটিকে কীভাবে আরো পরিচ্ছন্ন রাখা যায় এবং মশা কমানো যায়, সে বিষয়ে মত বিনিময় করেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মো. ইমাম হোসেন রানা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক অং সুই প্রু মারমা, চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম, ডেন্টাল সার্জন ডাক্তার এসএম সরোয়ার আলম, ডাক্তার তপন চক্রবর্তী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন রিফাত।