ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ১১টি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট এবং দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়ার রিট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রিটকারীদের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচাপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্টে বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর পূর্বে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাক্তন সমন্বয়ক মো. হাসিবুল ইসলামের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল হক রিট দুইটি করেন।
আদালতে রিটকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, ‘রিটকারীরা আর রিট আবেদনটি চালাতে চান না। এ কারণে হাইকোর্ট রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।’
দলগুলো হল আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টি (জেপি), তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, বিকল্পধারা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এম-এল) (দিলীপ বড়ুয়া), বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।
এ ব্যাপারে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনা দেয়ার আরজি জানানো হয় রিটে। এছাড়া, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ ও ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে অন্য একটি রিটও করেন তারা।
রিটে নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- এ ব্যাপারে রুল চাওয়া হয়েছিল। ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের পাশাপাশি ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে দলগুলোকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সে ব্যাপারেও রুল চাওয়া হয়েছিল রিটে।
এর পূর্বে, আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। গেল ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে এ ব্যাপারে গেজেট জারি করা হয়। এতে সই করেন জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২’-এর সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।