চট্টগ্রাম: ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমাতে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম জোরদার ও মশা নিয়ন্ত্রণে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে তিন দিনের মশা নিয়ন্ত্রণ ক্যাম্পেইন ও জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচি শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে চসিকের সহযোগিতায় ও অক্সিজেন ওয়েসিস ক্লাবের আয়োজনে শেরশাহ কলোনী ডাক্তার মজহারুল হক হাই স্কুলের প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিকের প্রধান পরিছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজেমী। উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী তৌহিদুল হাসান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম, চট্টগ্রাম সিটি যুব রেড ক্রিসন্টের যুব প্রধান আনম তানজীদ, সমন্বয়ক মাইমুন সুলতানা, আবরার আহমেদ সাইফ।
শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দেশ গঠনের ক্ষেত্রে আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সঠিক দায়িত্ব পালন করলে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন দেশ গঠন সম্ভব। বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সকলকে সচেতন হতে হবে এবং প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। অক্সিজেন ওয়েসিস ক্লাব এ কাজটিই করছে। আমি তাদের ডেঙ্গু ক্যাম্পেইন ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘ডেঙ্গু থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে, সে সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদেরসহ জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে। শুধু ওষুধ ছিটিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না, যদি না আমরা নিজেদের বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানি তিন দিনের মধ্যে অপসারণ না করি। কারণ তিন দিনের বেশি জমে থাকা পানিতে এডিস মশার জন্ম হয়।’
শেখ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পত্র, বালতি, টিনের কোঁটা, ডাবের খোসা, নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারি শেল, পলিথিন, চিপসের প্যাকেট ইত্যাতিদে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। এ রকম পানির ধারক ধ্বংস করতে হবে। নিজ নিজ বাড়ির আঙ্গিনা, ছাদ, স্কুল-কলেজ, দোকান পাট, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠানের আওতাভূক্ত এলাকায় এডিস মশা জন্ম নিতে পারে- এমন সব স্থান পরিষ্কার রাখতে হবে।’