স্বাস্থ্য ডেস্ক: ঋতু পরিবর্তনের শুরুতে কয়েক দিন বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজে কিংবা ঋতুগত কারণে অনেকেরই সর্দি-কাশির মত সমস্যা হচ্ছে। এ অবস্থায় হালকা জ্বর, খুসখুসে কাশি, চোখ দিয়ে পানি পড়া, নাম চুলকানো কিংবা পানি পড়ার মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এসব সমস্যায় কম-বেশি সকলে পড়েন।
তবে, এ অবস্থায় প্রায় সবাই প্রথমেই না বুঝে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে থাকেন। কিন্তু, ঠিক কী করা উচিত, তা নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট ইএনটি সার্জেন ডাক্তার দ্বৈপায়ন মুখ্যার্জি। তিনি জানিয়েছেন, এ ধরনের রোগ মূলত ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৫-৬ দিনের মধ্যে নিজ থেকেই ঠিক হয়ে যায়। এছাড়াও, সুস্থ হওয়ার কিছু উপায় জানিয়েছেন এ চিকিৎসক। এবার তাহলে সেসব উপায় জেনে নেয়া যাক।
যেসব ওষুধে ভরসা: শরীরে হালকা জ্বর তাকলে প্রথমে প্যারাসিটামল সেবন করা শুরু করুন। এ ওষুধেই উপকার পাবেন। পাশাপাশি, নাকের জাইলোমিথাজোলিন জাতীয় ড্রপ ব্যবহার করুন। সাথে অ্যান্টিহিস্টমাইন ওষুধও রাখতে পারেন। এ জাতীয় ওষুধে নাক বন্ধ ঠিক হবে। আবার চুলকানি বা জ্বালা-পোড়ার মত সমস্যা থাকলেও তা কমে যাবে। এ জন্য অল্প সময়ে সুস্থ হতে এসব ওষুধে ভরসা রাখতে পারেন।
বেশি বেশি পানি পান: এ ধরনের সমস্যায় বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। তাতে অল্প সময়ের মধ্যেই সুস্থ হওয়ার পথ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। পাশাপাশি, স্টিম নিতে হবে। গলায় ব্যথা থাকলে নিয়মিত গার্গল করুন। সম্ভব হলে কিছুটা বিশ্রামও নিন। আর শিশুদের ক্ষেত্রে এ জাতীয় সমস্যা হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না পাঠানোই ভাল। কেননা, তাদের থেকে অন্য শিশুদের মধ্যে সমস্যা ছড়িয়ে পড়তে পারে। আবার শিশুর সমস্যাও আরও জটিল হতে পারে।
অ্যাল্যার্জির সমস্যা থাকলে: অ্যাল্যার্জিজনিত সমস্যা থাকলে উল্লেখিত সমস্যাগুলো সাত দিনের বেশি থাকে বা বার বার হতে থাকে। এ জন্য নিজ থেকেই সতর্ক হতে হবে। উল্লেখিত রোগের পেছনে অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের মত সমস্যাও থাকে বহু সময়। আর এ ধরনের সমস্যা সাধারণত ঋতু পরিবর্তনের সময়ই হয়ে থাকে। এছাড়া, এ সময় ঘরে ক্ষুদ্র পোকার (মাইটস) মল উড়ে বেড়ায়। যা নাকে ঢুকলে সমস্যা হয়ে থাকে। সর্দি শুরু হয়। ফলে, আচানক নাক দিয়ে পানি পড়া শুরু করলে, নাক বন্ধ হলে সাবধান হয়ে যান।
নাকের স্প্রে প্রয়োজন: নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়ার মত ইত্যাদি সমস্যায় স্টেরয়েড নাকের স্প্রে সাজেস্ট করে থাকেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি, নাকের ড্রপ দেয়া হয়। এতেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অল্প সময়ে স্বস্তি মিলে। তবে, কিছু সময় ওষুধেও কাজ হয় না। তখন রোগীকে এসএলআইডি ভ্যাকসিন দেয়া হয়। এ কারণে রোগীর নির্দিষ্ট কিছু অ্যালার্জেনের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি হয়। যা থেকে সমস্যার ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। তবে, কখনো যদি সমস্যা কমতে শুরু না করে বা জটিল হতে থাকে, তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।