তেহরান, ইরান: ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ইরানের তেহরান ও কারাজ শহরে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল। সংবাদ এএফপির।
ইসরাইল হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, ‘শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে প্রতিশোধমুলক পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের সংবাদে বলা হয়েছে, ‘তেহরান ও কারাজ শহরের আশপাশে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত অথবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।’
তেহরানের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘তেহরানে তারা মোট সাতটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনেছেন। এসব বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকাগুলো প্রচন্ড বেগে কেঁপে ওঠেছে।’
শুক্রবার (২৫ অক্টাবর) রাতেই ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরাইল কয়েক মাস ধরে ইরানের হামলার উত্তরে, ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোয় ‘সুনির্দিষ্টভাবে হামলা’ চালিয়েছে তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী।’
যুক্তরাষ্ট্র ইরানে ইসরাইলের হামলার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, তারা এ হামলার সাথে কোনভাবেই জড়িত নয়।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র সেন সাভেট বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইসরাইল
আত্মরক্ষার স্বার্থেই ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় ‘সুনির্দিষ্টভাবে হামলা’ চালিয়েছে। এ হামলা গেল ১ অক্টোবর ইরানের হামলার পাল্টা উত্তর।’
ইসরাইল দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলেছে, ‘১ অক্টোবর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উত্তরে এ হামলা চালানো হয়েছে।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্ট বলেছেন, ‘পাল্টা হামলাটি হবে ‘প্রাণঘাতি, সুনদির্ষ্টিভাবে ও বিস্ময়কর।’
ইসরাইলের ইতিহাসে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের প্রাণঘাতি হামলার পর থেকে ইসরাইল ইরান-সমর্থিত হামাসের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ওই হামলায় এক হাজার ২০৬ জন ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় হামলা এবং হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরজিসির কমান্ডারদের খুনের উত্তরে গেল ১ অক্টোবর ইসরাইলে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালায় ইরান। এরপর থেকে ইসরাইলের শীর্ষ কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুঙ্কার দিয়ে আসছিলেন।