চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটির বায়েজীদে খুনের ঘটনায় কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের প্রাক্তন সহ-সাধারণ সম্পাদকসহ তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
রোববার (১৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী এ তথ্য জানান।
বহিষ্কৃতরা হলেন সিটির পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সবুজ ও তার ভাই চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের প্রাক্তন সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এবং কৃষক দল চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সিটিতে আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
ইদ্রিস আলী বলেন, ‘গেল শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বায়েজিদ বোস্তামী থানার বার্মা কলোনির মো. সবুজ ও শান্তিগর কলোনির মো. শাহ আলমের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শান্তিগর এলাকায় যুবক মো. ইমন গুরুতর আহত হন। রাতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।’
এ দিকে, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে বায়েজীদ বোস্তামী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের গাড়ির ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে আরেকটি মামলা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গেল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর স্থানীয় সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন কাউন্সিলর মোবারক আলী ও তার অনুসারীরা গা ঢাকা দেন। এ সুযোগে সিটির বায়েজীদ বোস্তামী থানার বার্মা কলোনি, শান্তিনগর কলোনিসহ আশপাশের এলাকায় জায়গা দখল এবং মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন বিএনপির স্থানীয় কিছু নেতা-কর্মী। এরই জেরে গেল শুক্রবার (১১ অক্টোবর) স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. সবুজ ও তার ভাই ছাত্রদলের নেতা সাইফুল ইসলামের সাথে কৃষক দলের নেতা শাহ আলমের অনুসারীদের সংঘর্ষ বাধে। সেখানে মারা যান সবুজের অনুসারী মো. ইমন।
পুলিশ জানায়, ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতা সাইফুল এলাকায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত। গেল ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে চাঁদা না পেয়ে খুলশী থানার কর্ণফুলী কাঁচাবাজারে সামনের রেললাইনে বসা দুই দোকানি আলাউদ্দিন ও রাশেদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে তার দলের লোকজন। সাইফুলের বিরুদ্ধে ২৩টি ও তার ভাই স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সবুজের বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা রয়েছে।
এ নিয়ে বায়েজীদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ‘পুলিশের গাড়ির ওপর হামলার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। খুনের ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’