ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ এলাকায় খান সাহেব আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে না দেওয়ায় স্কুলের এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে যুবদল নেতা মো.হারুন খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩ জুলাই) মামলা দায়ের করার পর রাতেই প্রধান আসামি চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি মিয়া মো.হারুন খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, খান সাহেব আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে আছেন মো.নিজাম উদ্দিন। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মো.একরাম মিয়া বিদ্যালয়ে তার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি চান। কিন্তু করোনার জন্য বন্ধ থাকা বিদ্যালয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেননি মো.নিজাম উদ্দিন। তবুও অনুমতি ছাড়াই গত ২৫ জুন সেখানে বিয়ের আয়োজন করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর বিদ্যালয়ে মেয়ের বিয়ে হতে না দেওয়ায় শিক্ষকদের স্কুলে আসতে নিষেধ করেন একরাম সহ তার সহযোগীরা। এ ব্যাপারে শিক্ষাবোর্ডে অভিযোগ করলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ৩০ জুন ঘটে যাওয়া এ ঘটনার পর মো. হারুন খান বিদ্যালয়ে তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি ওই শিক্ষককে হত্যার হুমকিও দেন।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, করোনাকালীন এ সময়ে ক্লাব বন্ধ থাকায় অভিযুক্তরা বিদ্যালয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করে। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুমতি না দেওয়ায় তারা তারা জোর পূর্বক অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করে। পরে ৩০ জুন পাঁচলাইশ-ডবলমুরিং থানা শিক্ষা অফিসার মো.শফিউল আলমের নেতৃত্বে তদন্ত দল আসলে তাদের দেখেই জোরপূর্বক বিদ্যালয়ে ঢুকেন একরাম মিয়ার ভাই যুবদল নেতা মিয়া মো.হারুন খান, আরেক ভাই জানে আলম, মো.মাসুদ, মো.প্রিন্স এবং মো.আল নাহিয়ান।
তিনি আরো বলেন, ‘তারা প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকেই অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। একপর্যায়ে টেবিলে থাপ্পড় মেরে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এসময় মো.নিজাম উদ্দিনকে বিদ্যালয়ের সভাপতি কর্নেলও বাঁচাতে পারবে না বলে জানায়। এ ঘটনায় শনিবার মামলা দায়ের করলে রাতে মিয়া মো.হারুন খানকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।