চট্টগ্রাম: আজ ৮ সেপ্টেম্বর (রোববার) বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস-২০২৪। এ বছর দিবসটির আন্তর্জাতিক প্রতিপাদ্য বিষয় ‘কোমড় ব্যথা ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপিস্টের ভূমিকা রয়েছে।’
দেশে এ দিবসটি বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। চট্টগ্রামে অবস্থানরত ফিজিওথেরাপির চিকিৎসকরা সিটির একটি রিহ্যাব সেন্টারে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোমর ব্যথায় ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ভূমিকা বিষয়ে সচেতনতামূলক সেমিনার করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি চারজনে একজন কোমর ব্যথায় ভুগছেন। ব্যথা হলেই ব্যথার ওষুধ বা অপারেশন সমাধান নয়। কোমর ব্যথার কারণ নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
সেমিনারের বক্তারা বলেন, ‘কোমর ব্যথা নিরাময় ও প্রতিকারে ফিজিওথেরাপিস্টের জোরালো ভূমিকা আছে।’
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ আছেন বলে জানান উপস্থিত রোগীরা।
সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফিজিওথেরাপিস্ট নিউরো এন্ড স্পোর্টস ফিজিও বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি সোসাইটির সহ-সভাপতি ডাক্তার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেণ প্রয়াস চট্রগ্রাম শাখার ফিজিও ডাক্তার জাহেদ ও বিশেষজ্ঞ ফিজিও ডাক্তার শহীদ খান।
সেমিনারা আলোচকরা আইনের ধারা তুলে ধরে বলেন, ‘বালাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন- ২০১৮ অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি প্রেসক্রিপশন ও চিকিৎসা প্রদানকারী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক তথা ফিজিওথেরাপিস্ট হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা স্বীকৃত পাবিলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদ অধিভুক্ত প্রদত্ত পাঁচ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব সাইন্স ইন ফিজিওথেরাপি (প্রফেশনাল) ডিগ্রি। তারা রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাক্টিশিনার হিসেবে পেশাগত দ্বায়িত্ব পালন করবেন। অনুরুপভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ থেকে ৩-৪ বছর মেয়েদী ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলোজিতে (ফিজিওথেরাপি) সনদ প্রাপ্ত রিহ্যাবিলিটেশন টেকনোলজিস্টরা আইন অনুসারে ফিজিওথেরাপিস্টদের তত্তাবধানে সেবা দেবেন। কোনভাবেই ডিপ্লোমাধারী মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট বা টেকনিশিয়ানরা নিজেদের ফিজিও দাবি করা বা সরাসরি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা করার সুযোগ নেই। এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জনগনকে সচেতন হতে হবে।’
সেমিনারের জানানো হয়, ফিজিওথেরাপিতে কোন প্রকার সনদ নেই অথবা ডিপ্লোমাধারী মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট বা ফিজিওথেরাপিতে অধ্যয়নরত (ইন কোর্স বা অন কোর্স) এমন অনেকেই নিজেদের ফিজিওথেরাপিস্ট তথা ফিজিও পরিচয় দিয়ে সাধারণ রোগীদের ধোকা দিয়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। অথচ রোগীরা জানেনা কে ফিজিওথেরাপিস্ট বা কে টেকনোলোজিস্ট বা কে টেকনিশিয়ান, এ বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।’
সেমিনারে কয়েকজন রোগীর প্রশ্নের উত্তরে ভুয়া ফিজিওথেরাপিস্টদের বিরুদ্ধে করণীয় হিসেবে বলা হয়, ‘যারা আইন না মেনে ফিজিওথেরাপিতে পাঁচ বছর মেয়াদী স্নাতক ডিগ্রী না নিয়ে নিজেদের ফিজিও পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন, তাদের একটি তালিকা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে জমা দেয়া হয়েছে। যেহেতু তথ্য গোপন করে অনেকেই বিপিটি ডিগ্রী না নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছেন, এতে ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। সে অনুযায়ী এ সংস্থা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’