চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নগরীর রাস্তা-ঘাট, ফুটপাত দখল করে ও নালর উপর স্ল্যাব নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালন করছে তারা নিজ উদ্যোগে দ্রুত এসব অবৈধ স্থাপনা ও অপসারণ করবেন। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোন ধরণের শৈতীল্যতা দেখানোর অবকাশ নেই।
তিনি আজ শনিবার সকালে নগরীর ২৭নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডস্থ মা ও শিশু হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তার দুই পাশে নালা, ফুটপাত ও রাস্তার উপরে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান পর্যবেক্ষণকালে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ফুটপাতের উপর স্থাপিত অবৈধ দোকান পাটের ময়লা আবর্জনা সরাসরি নালায় ফেলে জলাবদ্ধতার সৃস্টি করছেন এবং নগরীর সৌন্দর্য্য নষ্ট করছেন। কিছু কিছু ব্যক্তি বিশেষের কারণে সাধারণ জনগন কষ্ট পাচ্ছে। তা মেনে নেয়া যায় না।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এসকল অবৈধ স্থাপনা ও নালার উপর অবৈধভাবে নির্মিত স্ল্যাব উচ্ছেদের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। কেউ যদি নিজ উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ না করেন, তাহলে চসিকের উচ্ছেদ কার্যক্রমে ব্যয় বহন করতে হবে ও আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, দখলদার যত বড়ই হোক না কেন, কেউ ছাড় পাবে না।
রেজাউল করিম চৌধুরী আরো বলেন, আগ্রাবাদ এলাকা এমনিতেই নিম্ন এলাকা, এখানে স্বাভাবিক সময়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে। এখানে একেই সঙ্গে তিনটি ব্রিজের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। ব্রিজ সংস্কারের দায়িত্বে নিয়োজিত ঠিকাদারের অসতর্কতার কারণে ড্রেনের পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয়েছে। যা চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দ্বারা অপসারণ করা সম্ভব নয়। তাই ব্রিজের কাজে নিয়োজিতদের এ প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।
তিনি জনসাধারণকে তাদের প্রতিষ্ঠান ও গৃহস্থালীর আবর্জনা পলিথিন, প্লাস্টিক ও অন্যান্য আবর্জনা খাল ও নালায় না ফেলার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ওয়ার্ড কাউন্সিলদের তত্ত্বাবধানে মাইকিং, লিফলেট বিতরণের আহ্বান জানান।
মেয়র আরো বলেন, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রামনণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংক্রামনের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। বিশেষজ্ঞগণের মতে এখনেই সতর্ক না হলে,পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে। তাই আমাদেরকে সরকার ঘোষিত লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তাহলেই পরিস্থিতি উন্নতী হবে।
এ সময় দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরীর, চসিক উপ-প্রধান পরিচ্চন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম, পরিচ্চন্ন কর্মকর্তা প্রনব শর্মাসহ চসিকের পরিচ্চন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।