হাটহাজারী, চট্টগ্রাম: বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মীর মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ‘যারা অন্যায়-অপকর্মে জড়িত, তারা বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের কেউ নন। কেননা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ ব্যাপারে কঠোর নীতি অবলম্বন করছেন। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে যে দখলদারিত্ব-চাঁদাবাজি করবে, তাকে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করুন।’
শনিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারীর উপজেলাধীন নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে হালদা নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ ও বন্যা কবলিত কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ পরবর্তী মত বিনিময় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মীর হেলাল আরো বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা অন্যায়ভাবে দখল, চাঁদাবাজি, গুম, খুন ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে রাজত্ব করেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে তারা ভেবেছিল, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিবে। কিন্তু, সেটি সম্ভব হয়নি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দৃঢ় মনোবল ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঠিক নেতৃত্বের কারণে। এক পর্যায়ে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ছাত্র-জনতার সংঘবদ্ধ আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়েছে। কিন্তু, তার দোসররা এখনো অন্যায় কার্যক্রম ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে।’
তিন বলেন, ‘গেল ৫ আগস্ট বাংলাদেশ দ্বিতীয় বারের মত স্বাধীন হয়েছে। দেশের মানুষ বুক ভরে শ্বাস নিতে পারছে। এক্ষেত্রে, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন না হলে এটা সম্ভব হত না। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, ঠিকই কিন্তু তার প্রেতাত্মা ও দোসররা চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। তারা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে দখল, চাঁদাবাজি ও লুট করছে। আমরা এ ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছি।’
নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালাউদ্দীন আলীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রফিকুল আলম চৌধুরী, আব্দুল শুক্কুর, মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, ইলিয়াছ চৌধুরী, রহমত উল্লাহ, উপজেলা যুবদলের প্রাক্তন সভাপতি শাহেদুল আজম, উত্তর জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আকবর আলী, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাসাসের সভাপতি কাজী সাইফুল ইসলাম টুটুল, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জিএম সাইফুল, সদস্য সচিব নুরুল কবির তালুকদার, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি তকিবুল হাসান তকি, চট্টগ্রাম জেলা জিয়া স্মৃতি পাঠাগার সাধারণ সম্পাদক লায়ন আনোয়ার হোসাইন উজ্জ্বল, নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়ন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গাজী মোরশেদ উল আলম, শফিউল আলম বাবু।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নেতা শাহাব উদ্দিন, ফরিদ আহম্মদ, মোহাম্মদ আজম, মোহাম্মদ সোলমান, মোহাম্মদ বদিউল আলম, মোহাম্মদ শফিউল আলম বাবুল, নুরুল আবছার আক্তার, মোহাম্মদ তৌহিদুল আলম, মোহাম্মদ আকতার হোসেন ভুট্টো, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফিরোজ আলম, আব্দুল হালিম, মোহাম্মদ সোলমান, মোহাম্মদ আবু তৈয়ব মিয়া, আব্দুল্লাহ (বাহাদুর শাহ), চার নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ নঈম উদ্দিন, প্রাক্তন ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল জলিল মোহাম্মদ জানে আলম, রবিউল আলম বুলবুল, মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ মামুন, নজুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, মোহাম্মদ মফজল, ছিপাতলী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবুল খায়ের, সদস্য সচিব কামাল উদ্দিন কামাল, মির্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব এয়াকুব, মির্জাপুর বিএনপির নেতা উত্তম দে, মোহাম্মদ শাহেদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জিএম কামরুদ্দিন নাহিদ, কাজী এরশাদ উদ্দিন, নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়ন যুবদলের নেতা মোহাম্মদ জাফর, আব্দুর শুকুর, মোহাম্মদ সোলমান, ওমর ফারুক, ইউনিয়ন বিএনপির নেতা বাবুল, সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ হোসেন, ছাত্রদলের সহসভাপতি আলী মোহাম্মদ বশির আল হেলাল, ছাত্রদলের নেতা মোহাম্মদ দিদার, মোহাম্মদ হেলাল।